টেক্সাসে একসাথে ১,৫০০-র পড়ুয়া পাঠ করল ভাগবত গীতা! নথিভুক্ত হল গিনেস রেকর্ডে, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে ভারতীয় সংস্কৃতির ফের একবার জয়জয়কার! সম্প্রতি “গীতা সহস্রাগালা” (Gita Sahasragala) ইভেন্টে ৭০০ জন প্রশিক্ষিত সাবলীল পাঠকের সাথে ১,৫০০ জনেরও বেশি পড়ুয়া ভাগবত গীতার শ্লোক পাঠ করল। আর এভাবেই তৈরি হল অনন্য রেকর্ডও! গত ১৩ আগস্ট টেক্সাসের ডালাসে অবধূত দত্ত পীঠম দ্বারা আয়োজিত ওই ইভেন্টে পড়ুয়ারা এই বিরল কৃতিত্বের প্রদর্শন করে।

এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness Book of World Records) জায়গা করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর যাবৎ এই ইভেন্টের জন্য অনুশীলন চালিয়ে যায় পড়ুয়ারা। অ্যালেন ইভেন্ট সেন্টারে শ্রী গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামীজির উপস্থিতিতে সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

ভাগবত গীতার শ্লোক পাঠের পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন প্রতিনিধি স্বামীজির কাছে “সবচেয়ে বড় একযোগে হিন্দু পাঠের আবৃত্তি” করার জন্য বিশ্ব রেকর্ডের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানের পরে ফ্রিস্কো শহরের মেয়র গত ১৩ আগস্ট, ২০২২ দিনটিকে “গীতা সহস্রগালা” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে ডালাসের এই ইভেন্টের সংগঠক অবধূত দত্ত পীঠামকে প্রশংসা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠিতে, ঐতিহাসিক সহস্রগালা ভাগবত গীতা পরায়ণ অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর শুভেচ্ছাও জানান।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামীজি ফ্রিস্কোতে কার্যসিদ্ধি হনুমান মন্দিরের (KSHT) প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি তিনি “গীতা মহাযজ্ঞ” কর্মসূচিরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার অর্থ হল, “গীতা-দ্য গ্রেট অফারিং” (“Gita-The Great Offering”)। এর উদ্দেশ্য হল সঠিক সংস্কৃত পাঠ এবং মুখস্থ শেখানো।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর