প্রসংশার বন্যা! তৃতীয় লিঙ্গের ৫০ জনকে চাকরি দিল ফুড ডেলিভারি সংস্থা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশ ক্রমশ উন্নত হলেও তৃতীয় লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডারের (Transgender) কথা শুনলে নাক কোঁচকানোর রীতি এখনও বদলায়নি। বাসে-ট্রেনে বা পথে-ঘাটে তাঁরা মানুষের কাছে তালি দিয়ে টাকা চেয়ে বেড়ায়। তাই বোধহয় মানুষ তাঁদের অবজ্ঞার ছলে দেখেন! তবে অনেকের এরকমও ধারণা ওই তৃতীয় লিঙ্গদের মধ্যে যদি কেউ শিক্ষিত এবং উচ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে বোধহয়, তাঁকে বাকি পাঁচটা মানুষের মতই সন্মানের চোখে দেখা হবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার উল্টো ছবি দেখে থাকি।

সম্প্রতি ভারতেই সেই চিত্র চোখে পড়ল। ইতিহাস তৈরি হতে হতেও হল না এদেশে। দেশের প্রথম রুপান্তরকামী ভোট প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন নির্বাচনী লড়াই থেকে। জানা যাচ্ছে, দলের অন্দরেই তাঁকে কুৎসা ও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নাগাড়ে চলতে থাকা থাকা কুৎসার মোকাবিলা করতে না পেরে হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ২৮ বছরের অনন্যা।

Is Bangladesh on the cusp of electing its first transgender MP? | SabrangIndia

এই পরিস্থিতিতে ১-২ নয়, তৃতীয় লিঙ্গের একেবারে ৫০ জনকে চাকরি দিল বাংলাদেশের ফুড ডেলিভারি (Food Delivery) সংস্থা পাঠাও ফুড। কয়েকদিন আগের বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদেরকে নিয়োগ করলো এই খাবার সরবরাহকারী সংস্থা। তাঁদের প্রত্যেককেই নিয়োগ করা হয়েছে ‘ডেলিভারিম্যান’ হিসেবে। এমনকি তাঁদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে আইডি কার্ড, টি-শার্ট, স্মার্ট ফোন, ফুড ব্যাগ ও বাইসাইকেল।

ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি এই ৫০ জন ফুডম্যান তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা লিঙ্গ দ্বারা পরিচিত নয়। বরং তাদের পরিচয় প্রকাশ পাবে কাজে। তাদের একটাই পরিচয় তারাও বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে তাদের প্রতি সমাজেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। পাঠাও-এর স্লোগান ‘মুভিং বাংলাদেশ’ শুধু কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। এমনকি এও জানানো হয় যে, যারা ফুডম্যান হিসেবে সম্মানজনক আয়ের মাধ্যমে নিজেদের জীবনে আনবে ইতিবাচক পরিবর্তন। এই নিয়োগের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই তা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল (Viral) হয়ে মানুষের মন জয় করেছে। বইছে প্রশংসার বন্যা।

সম্পর্কিত খবর