২২১২ টাকার জালিয়াতি, ২৬ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিতে হবে ৫৫ লাখ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২২১২ টাকার জালিয়াতির অভিযোগে চোকাতে হবে ৫৫ লাখ, এতো লঘুপাপে গুরুদন্ড! সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) নির্দেশে এই বিরাট পরিমান টাকাই দিতে মহেন্দ্র কুমার শারদা (mahendra kumar sharda) নামের এক ব্যক্তিকে। যার মধ্যে ৫ লাখ টাকাই বিচার ব্যাবস্থার সময় অপচয় করার জরিমানা

ছবি : প্রতীকি

জানা যাচ্ছে, মহেন্দ্র কুমার শারদা নামের ঐ ব্যক্তি ১৯৯২ সালে ওম মহেশ্বরীর ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। যিনি সেই সময়েও স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে মাহেশ্বরী তার ম্যানেজার শারদার বিরুদ্ধে জালিয়াতির জন্য এফআইআর দায়ের করেন।

Supreme court of india

মহেশ্বরীর অভিযোগ ছিল মহেন্দ্র কুমার শারদা মহেশ্বরীর নাম ব্যাবহার করে অবৈধভাবে একটি একাউন্ট খুলে চেক দিয়ে কমিশন ও ব্রোকারেজ আত্মসাৎ করেছেন। জালিয়াতি করা টাকার পরিমান ছিল ২২১২.৫০ টাকা।

প্রথমে মহেন্দ্র কুমার শারদার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হলেও পরে অবশ্য তারা সেটেলমেন্টে রাজি হয়৷ কিন্তু অভিযোগ গুরুতর বিবেচনায় সেই প্রস্তাবে গররাজি ছিল দিল্লি হাইকোর্ট।

এরপর মামলাটি পৌঁছায় ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের কাছে। সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্ত ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে সেটেলমেন্ট করতে রাজি হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রস্তাবে রাজি হলেও বিচার ব্যাবস্থার দুর্মূল্য সময় নষ্ট করার জন্য শারদাক্স ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে ন্যায়মূর্তি সঞ্জয় কে কউলের বেঞ্চ। সব মিলিয়ে ২২১২ টাকার জালিয়াতির অভিযোগে তাকে দিতে হবে ৫৫ লাখ টাকা। এই মামলার পরের শুনানির তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর।

 

 

সম্পর্কিত খবর