দীর্ঘ ৬ মাসের লড়াই শেষ, SSKM হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ ৬ মাসের লড়াই শেষ! জীবনযুদ্ধে হার মানলেন ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী মুজিবর ইসলাম মজুমদার। বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

জানা গিয়েছে যে, নিহত মুজিবর ইসলাম মজুমদার ত্রিপুরার অত্যন্ত সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গত ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাঁর বাড়িতেই একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন তিনি।

ওইদিনই বেশ কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, ওই দুষ্কৃতীরা মুজিবরকে বেধড়ক মারধর করে। এমতাবস্থায়, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও ৩ জন তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হন।

এই ঘটনায় মুজিবর ইসলাম মজুমদারের পাশাপাশি ছাত্রনেতা শুভঙ্কর মজুমদারও গুরুতর আহত হন। তাঁদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হলে শুভঙ্কর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে, আঘাত গুরুতর থাকার কারণে মুজিবরের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
TMC,BJP,Death,Politics,Tripura,West Bengal

তবে সেই মুহূর্তে তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। এরপর রক্তে শর্করার পরিমাণ কিছুটা কমলে তাঁকে ফের ১৮ ডিসেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে, শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধের লড়াইতে হার মানলেন মুজিবর। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিকে, এই ঘটনার পরেই রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেও অপরদিকে, বিজেপি নেত্রী অস্মিতা বণিক জানিয়েছেন যে, “যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক ঠিকই। তবে বিজেপির এই ঘটনায় কোনও যোগাযোগ নেই। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত শাসকদলের কর্মীরাই।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর