বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে যার কেউ নেই তার ভগবান আছে, আর সেরকম ভগবানরুপী মানুষও আছে । তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে কাওকে ভরসা করা বা বিশ্বাস করা বেশ কঠিন । আবার বিশ্বাস করার মতন মানুষও যে নেই সেটাও অস্বীকার করা যায়না । এরকম অনেক ব্যাতিক্রমি ঘটনা আজও ঘটে থাকে। নাগাল্যান্ডে বহু অনাথ শিশুর প্রতি উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুবোনেনবা লোগকুমের।
মাত্র ১২ বছর বয়েসে নিজের বাবা মাকে হারিয়ে তিনি যখন অসহায়ের মত সাহায্যের হাত খুঁজছিলেন , তখন তাকে আপন করে নেয় বাস্তবের কঠিন পরিস্থিতি। এক একটা দিন তার কাছে কাটানো ছিলো ভীষণ মুশকিল। তাই বলে তিনি লড়াই করে বাঁচতে ভুলে যায়নি । নিজের যোগ্যতায় লড়াই করে অনেক বড় হয়েছেন। ছোটবেলায় তার বাবা এক গভীর অসুখে মারা যান । তার বেশ কয়েক বছর পর তার মাও মারা যান ।সুবোনেনবা এবং তার তিন বোন একা রয়ে যায় ।
এখানেই শেষ আত্মীয় স্বজন থাকা সত্ত্বেও তার পাশে এসে কী দারায়নি । কিন্তু এই পরে পরিবারের লোকেরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও দায়িত্ব নিয়ে নিলেও তার খাওয়াদাওয়া, জামাকাপরের খরচ তারা দেন। কিন্তু একজন শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য সবথেকে জরুরী শিক্ষা এবং স্নেহ সেটা কখনো পায়নি সুবোনেনবা । কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস হলেও সুম্বের বাবার এক বন্ধু তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। সুম্বা পড়াশোনার পাশাপাশি হোটেলে কাজ করে উপার্জন করতো ।
পরের দিকে সুবোনেনবা ভাই সাহায্য করে এবং পড়ার খরচ বহন করে। এরপর কলেজে পড়াকালীন তিনি একটি এনজিও সম্পর্কে জানতে পারেন। ওই এনজিও শিশু শ্রমিকদের নিয়ে একটি প্রোজেক্টের কাজে আগ্রহী হন। এবং তিনিও সেই কাজে নিযুক্ত হতে চান। দিমপুরের ওই এনজিওর সাথে নিজুক্ত হন সুবোনেনবা । তারপরেই সেখানে ওই শিশুদের পাশে দাঁড়ান সুবোনেনবা । তাদের আজও নানাভাবে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করে সুবোনেনবা ।