করোনার আবহে বদলে গিয়েছে জীবন। স্কুল, কোচিং, খেলার মাঠে যাওয়া মানা। মুঠোফোনের স্ক্রিনেই নিজেদের বন্দী রেখেছে বেশিরভাগ খুদে। কিন্তু বাগবাজারের বাসিন্দা বছর নয়েকের আয়ূষ ব্যাতিক্রমী। করোনায় গৃহবন্দী থাকার সময়টা সে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিতে। কাগজ, আঠা ও কার্ডবোর্ড দিয়েই এই খুদে তৈরি করে ফেলেছে দূর্গা প্রতিমা।
আয়ূষের বাবা নারায়ণও শিল্পী। তিনি শিল্পনির্দেশনার কাজের সাথে যুক্ত। তাই স্বাভাবিক ভাবেই শিল্পের সাথে আয়ূষের পরিচয় ছোট থেকেই। ছোটবেলা থেকেই বাবার ঘরের বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ছোটখাটো মূর্তি, কাগজের শিল্প তৈরি করতে ভালোবাসে সে৷ এই কাজে বাবারও উৎসাহ পেয়েছে সে।
কিছুদিন আগেই একদিন আয়ূষ বাবার কাছে কাগজ সহ আরো উপকরণ কিনে দেওয়ার বায়না ধরে। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় সে দূর্গা প্রতিমা তৈরি করবে। ছেলেকে নিরাশ করেননি নারায়ণবাবু। ছেলের মন মতো সব কিছু এনে দেন তিনিও।
তারপর সেই সব জিনিস নিয়েই কাজে লেগে পড়ে সে। চালচিত্র তৈরির জন্য চেয়ে নেয় প্রতিবেশীর কেনা ফ্রিজের বোর্ড। তা দিয়েই সে বানিয়ে ফেলে প্রতিমা। ছেলের হাতের কাজ দেখে অবাক হয়ে যান নারায়ণ বাবুও। ঐ দূর্গা প্রতিমার একটি ভিডিও তিনি ফেসবুকে দেন। সেখানে আয়ূষকে বলতে শোনা যায়, তার তৈরি দূর্গা প্রতিমা কারো কিনলে ভালো লাগবে।
ফেসবুকেই সেই দূর্গার কথা জানতে পারেন রাজপুর কালীতলার বাসিন্দা তমাল পাহাড়ি। তিনি খুদের বাবার সাথে যোগাযোগ করে নিজের স্যালনে দূর্গাটি রাখতে চান। আয়ূষকে উপযুক্ত স্বীকৃতিও দেন তিনি। ধুতি, পাঞ্জাবি, শঙ্কু সমগ্র উপহার দেন। বর্তমানে সেই মূর্তি তমাল পাহাড়ির স্যালনেই রয়েছে।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!