বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রান্তের খুরমে জঙ্গি হামলা হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, মঙ্গলবার জঙ্গিরা পাকিস্তানি সেনার উপর হামলা করে। এই হামলায় পাকিস্তানি সেনার ক্যাপ্টেন আবদুল বাসিত সমেত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পাক জওয়ান নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলায় পাকিস্তানের একাধিক জওয়ান আহত হয়েছে আর কয়েকজনকে জঙ্গিরা অপহরণ করে নিয়েছে। এছাড়াও জঙ্গিরা ৬ জন টেলিফোন অপারেটরকে বন্দি বানিয়ে ফেলেছে। এই হামলার পিছনে তেহরিক-ই-তালিবানের (TTP) হাত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে যে, তেহরিক-ই-তালিবানের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা খুরম এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিল ক্যাপ্টেন আবদুল বাসিত খান। অভিযান চলার সময় জঙ্গিরা পাক সেনার উপর হামলা করে দেয়। সেই হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন পাক জওয়ান নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের ১৩টি জঙ্গি সংগঠন মিলে TTP বানিয়েছিল। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শরিয়া আইনের ভিত্তিতে পাকিস্তানে আরও কট্টরপন্থী ইসলামিক শাসন।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিদের সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান বিখ্যাত। সম্প্রতি তালিবানকেও সংরক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে ওঁরা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার সঙ্গে শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান লস্কর-ই-তইবা আর জামাত-উল-দাওয়া জঙ্গি সংগঠননে আফগানিস্তানে তালিবানের হয়ে লড়ার জন্য পাঠিয়েছে।
এরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা তালিবানের কবজা কায়েম করতে সাহায্য করবে। আফগানিস্তান সরকারও ফেলে দিতে পারে এরা। আর এটাও আশঙ্কা জাহির করা হচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তালিবানের দখলে চলে আসবে। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের অনেক এলাকায় কবজা জমিয়েছে তালিবানরা।