চীন নয় ভারতই প্রকৃত বন্ধু, বেজিংয়ের ফাঁদ এড়িয়ে নয়া দিল্লীতেই ভরসা মালে-র

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের প্রতি শুরু থেকেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিপূর্বে এমন নানা ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। করোনাকালে সাধ্যমতো বিশ্বের একাধিক দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তেমনই মালদ্বীপে কখনও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়ে, আবার কখনও ভ্যাকসিন, তো কখনও বিপুল অঙ্কের আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর দুঃসময়ে ভারতের থেকে এমন সাহায্য পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেনি মালদ্বীপও।

উল্লেখ্য ভারত বিরোধী শক্তি চীন দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে ঋণের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল । বিষয়টি আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে এই বিষয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে দ্রুত সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি । আর তাঁর সেই কূটনৈতিক দৌত্য যে সফল হওয়ায় মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘বিপদের সময় সবার আগে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ফলে সেদেশে ভারত বিরোধী কোনও কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না।’

অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মালদ্বীপও ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।তাই এসবের মধ্যেই ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলতে বুধবার ভারত সফরে দিল্লি পৌঁছেছেন মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদ। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিপদের সময় তাঁদের পাশে সবার আগে ভারত দাঁড়িয়েছিল । তাই দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও মজবুত। ফলে সেদেশে ভারত বিরোধী কোনও কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য মালদ্বীপের আগের সরকার অর্থাৎ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ছিলেন চিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেসময় চিনের সঙ্গে সখ্যতা বাড়তে থাকায় বেজিংয়ের থেকে প্রচুর ঋণও নিয়েছিল ইয়ামিন সরকার। উল্লেখ্য মালদ্বীপের প্রধান আয়ের উৎস সেখানকার পর্যটন শিল্প। কিন্তু করোনা কালে তা ধুঁকতে থাকায়, সেই সংকটের সুযোগ নিয়ে মালদ্বীপের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চীন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে।

মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ‘ভারতপন্থী’ ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ (৫৪)। এর ফলে ভারত মহাসাগরের বুকে মালদ্বীপে বিশাল নৌঘাঁটি বানানোর যে স্বপ্ন ছিল চিনের তা চিরতরে ধূলো মিশেছে৷ এবিষয়ে বিদেশমন্ত্রী শহিদ জানান, “পূর্বতন সরকারের কিছু লোক মালদ্বীপে ভারত বিরোধী কাজ চালাচ্ছে। তবে তারা সংখ্যালঘু।”এছাড়াও তাঁর আরও সংযোজন “ভিয়েনা চুক্তি মেনে বিদেশি কুটনিবিদের সুরক্ষা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে সরকার। কুটনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর নেপথ্যে বৃহৎ ষড়যন্ত্র রয়েছে।”

বলে রাখি , গত জুন মাসেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৬তম অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ।১৯৩ সদস্যের এই সভার নির্বাচনে ১৪৩টি আসন পেয়ে জিতেছিলেন আবদুল্লা । সেদেশে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতি বছর এক বার করে ভোট হয়। যার মেয়াদ এক বছর। ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই আবদুল্লাকে সমর্থন জানিয়েছিল।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর