বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১-২২ প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিষদে এক মাসের জন্য সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। ১ আগস্ট ফ্রান্সের হাত থেকে এই দায়িত্ব ভারতের হাতে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা জ্বলন্ত সমস্যাগুলির একটি হল আফগানিস্তান ও তালিবান যুদ্ধ। আফগানিস্তানে তালিবানি বাড়বাড়ন্ত এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের প্রধান বিষয়। কিন্তু ১৫ সদস্যের এই বৈঠকে ডাক পায়নি পাকিস্তান।
এই ডাক না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তারা। যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রক তরফেও। তাদের দাবি, তারা আফগানিস্তানের ‘নিকট প্রতিবেশী’। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তাদেরকেই এই বৈঠকে ডাকা হলো না। এ নিয়ে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইমরান সরকার (Imran Khan government)।
অন্যদিকে আবার সরাসরি উল্লেখ না করলেও আফগানিস্তানের (Afghanistan).অবস্থার জন্য ঘুরিয়ে পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে ভারত (India)। এদিন তার বক্তব্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি (T.S. Thirumoorthy) জানিয়েছেন, ”আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ ও অভয়ারণ্যকে অবিলম্বে ধ্বংস করতে হবে।” তিনি এও জানান, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সন্ত্রাসবাদ কোনভাবেই চলতে দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুধু ভারত নয়, দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য পাকিস্তানকে (Pakistan ) দায়ী করেছে আফগানিস্তানও। তারাও জানিয়েছে, পাকিস্তান তালিবানদের মদত করে আসছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও এমন ঘটনা সামনে এসেছে যার সূত্র ধরে জানা গিয়েছে আইএসআইয়ের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে তালিবানি আক্রমণের পিছনে। এবার কার্যত সে কথাই রাষ্ট্রসঙ্ঘে তুলে ধরল দুই দেশ। যদিও ভারত সরাসরি পাকিস্তানের নাম গ্রহণ করেনি।