বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের ফলে অধিকাংশ দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক একাধিক টালবাহনার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও এর মধ্যেই একদিকে যেমন রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ায় ভারতের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ রয়েছে আমেরিকা, আবার অন্যদিকে যুদ্ধের মাঝে ভারতের মতো শক্তিশালী দেশকে নিজেদের দিকে টানতে তৎপর হয়েছে ব্রিটেনসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশগুলি। আর এহেন পরিস্থিতি মাঝে 21 ও 22 শে এপ্রিল দুদিনের জন্য ভারত সফরে আসতে চলেছেন ইংল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে তাঁর এই ভারত সফর যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলা বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, 2021 সালের 26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জনসনকে আমন্ত্রণ করা হয়, কিন্তু গোটা বিশ্বে করোনা মহামারী থাকার ফলে সেই সময় উপস্থিত হতে পারেননি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। আবার পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে আসার কথা থাকলেও পুনরায় দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে আরো একবার স্থগিত করতে জয় মোদি-জনসন বৈঠক। তবে শেষ পর্যন্ত আগামী 21 ও 22 শে এপ্রিল জনসনের ভারতে আসা স্থির হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ 21 শে এপ্রিল গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে যাত্রা শুরু করবেন বরিস জনসন এবং 22 তারিখ তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, 2030 সালের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি ভারত এবং ব্রিটেন এর মধ্যে ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও ভারত ও ব্রিটেন এর মধ্যে মজবুত কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধির বিষয়টিও নজরে থাকবে দুই প্রধানমন্ত্রীর। দিল্লি বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে 2035 সাল পর্যন্ত বার্ষিক 28 বিলিয়ন পাউন্ড ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে। ফলে বর্তমানে সংকটময় পরিস্থিতি মাঝে ভারত-ব্রিটেন বৈঠক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।