অভিনব উদ্যোগ পুলিশের! এবার ট্রাফিক নিয়ম ভাঙলেই দেখতে হবে ৩ ঘণ্টার সিনেমা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে প্রতিদিনই একাধিক পথ দুর্ঘটনার খবর সামনে আসে। এমনকি, যেগুলির বেশিরভাগই হয় প্রাণঘাতী। এমতাবস্থায়, পথচারীদের নিরাপত্তা এবং গাড়িচালকদের সতর্ক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তাও, এই ধরণের দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় গাড়িচালকদের সতর্ক করতে এবার অভিনব এক পদক্ষেপ নিল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ পুলিশ।

জানা গিয়েছে যে, ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করার জন্য একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে সেখানকার পুলিশ। যেখানে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের পাকড়াও করে ৩ ঘণ্টার একটি সতর্কতামূলক সিনেমা দেখাবে পুলিশ। মূলত, ওই সিনেমাতে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ, নির্দেশ ও নিয়ম অমান্যকারীদের দুর্ঘটনায় পড়ার মত দৃশ্য রয়েছে।

এমতাবস্থায়, গত শনিবার থেকে হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালানোর পাশাপাশি যারা ট্রাফিক নিয়ম মানছেন না তাঁদের কোনো চালান কাটছেন না সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশরা । এমনকি, তাঁদের কোনো পোস্টপেইড বা প্রিপেইড জরিমানাও করা হয়নি। বরং পুলিশ লাইনের কনফারেন্স হলে বসিয়ে তাঁদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বড় পর্দায় সিনেমা দেখানো হয়।

মূলত, তাঁদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা সম্পর্কিত একটি সিনেমা দেখানো হয় এবং সেখানেই তাঁরা গাড়ি চালানোর বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কেও অবগত হন। এই প্রসঙ্গে এসপি ট্রাফিক অশোক কুমার জানিয়েছেন যে, “এই বিশেষ অভিযান চালিয়ে ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিস্তারিত নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির চালান কাটা হয়নি। তাঁদের এই সিনেমা দেখিয়েই সচেতন করা হয়েছে।”

পাশাপাশি, তিনি বলেন যে, “এই ধরনের কর্মসূচি আমাদের ভালো ফল দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও, প্রথমদিকে লোকেরা কনফারেন্স হলে আসতে অনিচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু পরে সবাই বলেছেন যে, তাঁরা এরপর সবসময় ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলবেন, কারণ ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।'”

WhatsApp Image 2022 06 05 at 2.25.32 PM

তিনি জানান, “ট্রাফিক এবং শিক্ষায় 4E অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন। আমরা যত বেশি মানুষকে সচেতন করব, তত ভালো প্রতিক্রিয়া পাব। ইতিমধ্যেই মানুষ অনেক কিছু সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। আগে এখানে যখন সবাই আসতেন তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলত যে কেন আসবেন? এমনকি, অনেকে বলতেন আমাদের চালান কেটে দিন। কিন্তু গরমের মধ্যেও যখন ভিডিওর মাধ্যমে এই সতর্কতামূলক সিনেমা দেখানো হয়, তখন তাঁরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এইভাবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর