মালবাজারে হড়পা বানকাণ্ডে মৃত একাধিক! শোকপ্রকাশের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করার সময় আচমকাই ঘটে যায় বীভৎস দুর্ঘটনা। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল বাজারের অন্তর্গত মাল নদীতে (Mal River) হঠাৎ হড়পা বান আসায় জলের তীব্র গতিতে ভেসে যায় অসংখ্য মানুষ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে আট জনের প্রাণ গিয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে আর এর মাঝেই এবার শোক প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতি পূরণের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে মৃতদের নিকট আত্মীয়দের দু লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা প্রদানের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “গতকাল জলপাইগুড়ির মালবাজারের অন্তর্গত মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করার সময় হড়পা বান আসে আর ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের আক্তার শান্তি কামনা করি। এখনো পর্যন্ত ১৩ জন মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছে। সকলেই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।” পরবর্তীতে তিনি লেখেন, “এসডিআরএফ, এনডিআরএফ তল্লাশি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত মোট ৭০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রয়োজন পড়লে দুটি জরুরী ফোন নম্বর দেওয়া হল, যোগাযোগ করতে পারেন ০৩৫৬১ ২৩০ ৭৮০ এবং ৯০৭৩৯ ৩৬৮১৫।”

উল্লেখ্য, গতকাল দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে আচমকা হড়পা বান আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরবর্তীতে বৃষ্টি আসার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকে উদ্ধার কার্য। পরবর্তীতে বহু সংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করার সময় সেখানে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না কেন?

যদিও এক ডিফেন্স কর্মী জানান, “আমাদের কাছে কেবলমাত্র দড়ি ছিল। যদি আরো কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতো, তবে উদ্ধারকার্য আরো দ্রুত হতো।”

Untitled design 38

সূত্রের খবর, মাল নদীতে আগে থেকেই বোল্ডার ফেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নদীর যে দিকে স্রোত বেশি ছিল, সেখানেই বিসর্জন করা হয়ে চলেছিল। এক্ষেত্রে কয়েকদিন আগেও এই নদীতে হড়পা বান আসে। তবে সবকিছু জানা সত্ত্বেও কেন বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর