বাংলাহান্ট ডেস্ক: গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা হয়েও শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) যেন ব্যতিক্রমী। অন্য নায়িকারা যখন নিজেদের ‘ত্রুটি’, ‘খামতি’ গুলো মেকআপ, এডিটের কাঁচিতে লুকিয়ে রাখতে প্রাণপাত করেন, শ্রীলেখা সেখানে খুল্লমখুল্লা। ভুঁড়ি বেড়েছে, সেটা দেখাতেও কোনো ইতস্তত ভাব নেই তাঁর মধ্যে। নিজের এই গুণটার জন্য তিনি যেমন প্রশংসিত হন তেমনি আবার ট্রোলের মুখেও কিন্তু পড়েন। তবুও শ্রীলেখা বেপরোয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় থাকেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মজাও করেন তিনি। নিজেকে নিয়েও ঠাট্টা করতে পিছপা হন না শ্রীলেখা। অনেকেরই কৌতূহল তাঁর বয়স নিয়ে। তাই জন্মদিনে রীতিমতো লাইভে এসে নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন, ৫০ এ পা দিয়েছেন তিনি। মেয়েদের বয়স লুকিয়ে রাখতে হয়, এমন ধারণায় বিশ্বাসী নন শ্রীলেখা।
এবারে অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে ‘মমতা রোগ’এ ধরেছে। সেটা কীরকম? সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিরর সেলফি শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। একটি ধূসর শর্ট ড্রেস পরে ছবি তুলেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভুঁড়িটা কমবে না মনে হচ্ছে। দিয়ে দিই ড্রেসটা কাউকে? এখনো ট্যাগ খুলিনি। এরম পোস্ট বোধহয় কোনো অভিনেত্রী করে না তাই না? কী করব আমায় মমতা রোগ ধরেছে যে!’
একজন কমেন্ট করেছেন, অন্য কাউকে দেবেন কেন? ভুঁড়ি কমিয়ে নিন। শ্রীলেখার উত্তর, সব মায়া ত্যাগে মন দিয়েছেন তিনি। শুধু নিজের ম্যাক লিপস্টিকগুলো ছাড়তে পারবেন না। নিজেই নিজেকে ‘কুমড়ো পটাশ’ বলেও মজা করেছেন তিনি। কেউ আবার লিখেছেন, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে ভুঁড়ি হল বাঙালির সিগনেচার। আবার কেউ লিখেছেন, শ্রীলেখার এই সোজাসাপটা ব্যাপারটাই খুব ভাল লাগে। কোনো মেকি ব্যাপার নেই।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নন্দনে প্রদর্শিত হয়েছে শ্রীলেখা মিত্র পরিচালিত এবং প্রযোজিত ‘এবং ছাদ’। এটিই তাঁর পরিচালিত প্রথম শর্ট ফিল্ম। বিদেশেও সম্মানিত হয়েছে এবং ছাদ। এরপর ছবি ‘এরপর বারান্দা’, ‘তারপর বেডরুম’, ‘অতঃপর বাথরুম’ নামে তিনটি ছবি তৈরি করবেন শ্রীলেখা। দ্বিতীয় ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন পার্নো মিত্র।