বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আগেই ধুন্ধুমার রাজ্যজুড়ে। টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট! বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এই অভিযোগ উঠে আসছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল। তবে এবার শাসকদল নয় উল্টে সিপিআইএম (CPM) এর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ। আর এই নিয়ে বিক্ষোভে নামলেন দলেরই একাংশ।
অভিযোগ, দলের যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত রেখে অযোগ্য প্রার্থীকে মোটা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে টিকিট। ওই অযোগ্য প্রার্থীর হয়ে দলের কেউ ভোট চাইতে আসলে তাকে গাছে বেঁধে জুতোপেটা করার নিদান গ্রামবাসীদের। শুধুই কী হুঁশিয়ারি! চললো বিক্ষোভ প্রদর্শনও। এই নিয়ে গতকাল সকাল ৯ টা নাগাদ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিধুয়া-ডাঙ্গিলা মোড়ে বিক্ষোভ দেখান দলের বিক্ষুব্ধরা।
দলের কিছু নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বামকর্মীরা। প্রতিবাদে রাস্তার টায়ার জ্বালিয়ে ও সিপিআইএম এর দুই হাইকমান্ড আব্দুল মান্নান ও জামিল ফিরদোস এর ছবিতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলের কর্মী ও সমর্থকেরা। বিক্ষোভকারীরা কথায়, দলের উচ্চ স্তরের নেতাদের নির্দেশ মতো রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নং পঞ্চায়েত সমিতির জোট প্রার্থী সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন সুরভি খাতুন। এরপর যথারীতি ভোট প্রচারেও নেমেছিলেন তিনি।
সব ঠিকথাক চললেও হঠাৎই দল সিদ্ধান্ত বদল করে। সুরভিকে টিকিট দেওয়া হবেনা বলে জানিয়ে দেয় রশিদাবাদ অঞ্চলের সিপিআইএম এর কনভেনার আব্দুল মান্নান। তার বদলে টিকিট দেওয়া হয় অযোগ্য প্রার্থী নুঝতবাণু কে। এর প্রতিবাদেই ফেটে পড়েন কর্মীরা।
ঠিক কী কারনে সুরভি খাতুনকে টিকিট দেওয়া হল না সেকথাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএম কর্মীদের। তাদের আরও অভিযোগ, শাসকদলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই সিপিআইএম এই ধরনের কাজ করছে।তাই ওই অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। ভোট বয়কট করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে পাল্টা আব্দুল মান্নান জানান, যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা দলের কেউ না।টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। যে প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেই সুরভি খাতুনের বাড়ি মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।তাই দল তাকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোট মুহূর্তে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই বিক্ষোভ চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।