বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের মাদ্রাসা বিতর্কে উত্তাল দেশ। সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড়সড় দুর্নীতির হদিশ পেল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে ১৫৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩০টিই ভুয়ো, যাদের জন্য নিয়মিত স্কলারশিপ যেত সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক (Minority Affairs Ministry) থেকে।
তদন্ত করবে CBI : প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও ব্যাংকগুলির মধ্যে যোগাযোগ ছিল। গত পাঁচ বছরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অন্তত ১৪৪ কোটি টাকা স্কলারশিপ (Minority Scholarship) দেওয়া হয়েছিল। আপাতত এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।
অধিকাংশই ভুয়ো : কিছুদিন আগেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ বন্ধ করে দেয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। এই পদক্ষেপের ফলে তীব্র প্রতিবাদ হবে বলে ভেবেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি। তারপরই ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চ (NCAER) একটি সমীক্ষা চালায়। সেখানেই প্রকাশ্যে আসে এই অবাক করা তথ্য। ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে নথিভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ৮৩০টিই ভুয়ো বা বর্তমানে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে অন্তত ১৪৪ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে। বছরের পর বছর জেলা আধিকারিকরাও এই প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে পজিটিভ রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সরকারের কাছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতেই এই বিশাল দুর্নীতির কাজ চলত। প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের সঙ্গে জোট ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। দুর্নীতিতে মদত ছিল স্থানীয় ব্যাংকেরও।
আরও পড়ুন : মোদি, রাহুল না মমতা! প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে পছন্দ দেশবাসীর? নয়া সমীক্ষার রিপোর্টে ঘুরে যাবে মাথা
চলছে সমীক্ষা : এনসিএইআর-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৩৯ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ভুয়োর তালিকায়। এছাড়াও কেরল, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেও রয়েছে এমন ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশাল অঙ্কের এই দুর্নীতির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে (CBI)। পাশাপাশি সমীক্ষা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাও।