বাংলা হান্ট ডেস্ক : ল্যান্ডফলের (Landfall) অনেক আগে থেকেই তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ (Cyclone Michaung)। এরপর গত মঙ্গলবার বিকেলে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলীয় এলাকা বাপাতলাতে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়। আর সেই জেরে উপকূলীয় এলাকায় চলছে ঝড়ের তাণ্ডব। একদিকে প্রবল বৃষ্টি অন্যদিকে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে বইছে রাক্ষুসে হাওয়া।
মিডিয়ার খবর, সবে মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৭ জন মানুষ। যার মধ্যে ১৬ জন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এবং একজন অন্ধ্রপ্রদেশের। রাজ্যটিতে ঝড়ের দাপটের পাশাপাশি মুষলধারে বৃষ্টিও হচ্ছে বলে খবর। চেন্নাইয়ের কিছু জায়গা এবং চেন্নাই সংলগ্ন কিছু জায়গা ইতিমধ্যেই জলের তলায়।
দক্ষিণ ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, চেন্নাইয়ের কিছু কিছু এলাকায় বাড়ির একতলাতেও জল ঢুকে গেছে। জল উঠে গেছে রাস্তার উপরেও। বিদ্যুতের খুঁটি উলটে গিয়ে ভয়াভয় অবস্থা। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের এক শিশুও প্রাণ হারিয়েছে ‘মিগজাউম’র দাপটে। কৃষিকাজেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে জমির ফসল থেকে শুরু করে গাছপালা সবেতেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন : আরও ১টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসছে বাংলায়! ছুটবে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর দিয়ে, চালু হবে কবে?
দুর্যোগ আসতেই কাজে লেগে পড়েছে উদ্ধারকারী দল। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬১,০০০ মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছেন তারা। সরকারি সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। কেউ কেউ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন হোটেলে। এককথায় তামিলনাড়ুর রাজধানীর একাংশ এখন জলের তলায়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ৫০০০ কোটির সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
আরও পড়ুন : খোদ মহাদেবের হাতে সূচনা! বিজেপির নয়া যোগী বালকনাথের সম্প্রদায়ের নিয়ম অবাক করবে
সেই সাথে উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে ভারতীয় সেনাও। বিপদগ্রস্ত মানুষদের জন্য শুকনো খাবার ও জল ফেলা হচ্ছে আর্মি হেলিকপ্টার থেকে। প্রায় ৬০০ পাম্প লাগানো হয়েছে শহর থেকে জল বের করার জন্য। এমতাবস্থায় হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আসা একটাই খবর মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে আর তা হল, বুধবার অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম।