বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষে ফাইনাল রিপোর্ট করেছে সিবিআই। আর এ বার প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Recruitment Case) আলিপুর সিজিএম কোর্টে অতিরিক্ত চার্জশিট দিল সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। এর আগে একটি চার্জশিট দিয়েছিল সংস্থা। শুক্রবার জমা পড়ল দ্বিতীয় চার্জশিট।
কাদের নাম রয়েছে তাতে? কি জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর ২০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে কৌশিক মাঝি, পার্থ সেনের। এই কৌশিক মাঝি হল ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) প্রস্তুতকারক সংস্থা এস বসু রায় সংস্থার অংশীদার। আর পার্থ সেন সেই সংস্থারই কর্মচারী। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের এক সংস্থাকে।
সিবিআই এর চার্জশিটে অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ রয়েছে এই দুজনের। অভিযোগ, ৭০০ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা আদানপ্রদান হয় এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে। টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ওই তালিকায় থাকা ৩০০ জনের বেশি অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
গত বছরই অক্টোবর মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয় ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থা এস এন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির আধিকারিক পার্থ সেন। গ্রেফতার করা হয় কৌশিক মাঝিকেও। সূত্রের খবর, চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০১ নম্বর ধারায় (প্রমাণ লোপাট) অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছিনতাই হওয়া ল্যাপটপেই ছিল ‘সেই’ ব্যক্তির.., অবশেষে সন্দেশখালি নিয়ে আদালতে সব জানিয়ে দিল ED
জিজ্ঞাসাবাদে এস বসু রায় সংস্থার দাবি ছিল উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি নেই। যদিও তা মানতে নারাজ সংস্থা। সিবিআইয়ের ধারণা, প্রমাণ লোপাট করতে উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি নষ্ট করা হয়েছে। এই দুজনার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা মেনে ৪৬৭এ, ৪৭১, ১২০বি, ৪২০, ৪০৬, ৪৬৮, ২০১ ধারাও আনা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্ত আইনও চার্জশিটে যুক্ত করা হয়েছে।