নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বিপাকে পার্থ! এবার জোড়া আইনজীবী সমেত ‘সেই’ ব্যক্তি এল সিজিওতে…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নতুন বছর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি-সিবিআই। আর একের পর এক হেভিওয়েটকে তলব। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে (Bappaditya Dasgupta) তলব করেছিল ইডি। নির্দেশ মেনে এদিন হাজিরা দিতে ইডি দফতরে এলেন বাপ্পাদিত্য।

বৃহস্পতিবার বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ সিজিও-তে আসেন তৃণমূল তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য। সাথে ছিল জোড়া আইনজীবী। এদিন হাজিরার আগে সাংবাদমাদ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাপ্পাদিত্য বলেন, “আমার কাছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং আয়কর রিটার্ন চাওয়া হয়েছিল। সেগুলো জমা দিতেই এসেছি।”

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এরপর জানুয়ারি মাসে তাকে তলবও করেছিল সিবিআই। সেই সময় জেরা শেষে বাপ্পাদিত্য বলেছিলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কে কে আসতেন, সেটা তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছিলেন। আমি যা জানি সব বলেছি।” আর এবার ইডির মুখোমুখি শাসকদলের নেতা।

পূর্বে কলকাতা হাইকোর্টে এই নেতার নামে রিপোর্ট জমা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়ে সিবিআই জানিয়েছিল, বাপ্পাদিত্যর যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। পাশাপাশি নাম উঠেছিল তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীরও (Debraj Chakraborty)।

partha chatterjee cbi bappaditya tmc

আরও পড়ুন: নদীবাঁধের সরকারি জায়গা বিক্রির অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক

সিবিআই জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন বাপ্পাদিত্য। পার্থর সঙ্গে বাপ্পাদিত্যর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও ছিল বলে দাবি করেছিল সিবিআই। পাশাপাশি এই তৃণমূল নেতা চাকরি বিক্রির ‘এজেন্ট’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, এর আগে আইকোর চিট ফান্ড কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর