বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ভোটবাক্সে কেমন ফলাফল হবে তা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অনেকে। শনিবার গণনা হতেই দেখা গেল ‘ছক্কা’ হাঁকিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। নৈহাটি থেকে মেদিনীপুর, হাড়োয়া থেকে সিতাই সর্বত্র ফুটেছে ঘাসফুল। এই প্রথমবার মাদারিহাটেও জয়ী হল রাজ্যের শাসক দল। উপনির্বাচনের এই ফলাফল যেন বুঝিয়ে দিল, আরজি কর আন্দোলনের ছায়া ভোটবাক্সে (Assembly By Election) পড়েনি। বাংলার আস্থা এখনও রয়েছে মমতাতেই!
কোন মন্ত্রে ছয়ে-ছয় তৃণমূলের (Trinamool Congress)?
গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতাল। ৯ আগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল গোটা বাংলা। পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল সাধারণ মানুষ। রাতদখল থেকে শুরু করে লালবাজার অভিযান, বাদ যায়নি কিছুই।
রাস্তায় সাধারণ মানুষের ঢল দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, শাসকের গদি বুঝি টলমল! তৃণমূল (Trinamool Congress) অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করেছে, আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধী তথা বাম-বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। আমজনতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশ থেকে সরে যায়নি। আজ ৬ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর যেন সেকথাই প্রমাণ হয়ে গেল!
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের আগেই বড় খবর! সবটাই হবে অনলাইনে! নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সংসদের
আরজি কর কাণ্ডের আবহে ভোট হলেও কোন মন্ত্রে বাজিমাত করল রাজ্যের শাসক দল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, আরজি কর আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল একথা ঠিক। তবে তার প্রভাব ছিল শহরকেন্দ্রিক। গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব সেই অর্থে পড়েনি। বরং সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar), রূপশ্রী, কন্যাশ্রী (Kanyashree), বিনামূল্যে রেশনের মতো সুবিধা পায় আমজনতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হলে পাওয়া যায় শস্য বিমার টাকা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আরজি কর আন্দোলনের ঢেউ শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তা গ্রামের মাটিতে পৌঁছতে পারেনি। যার অনেকখানি প্রভাব উপনির্বাচনের ফলাফলে চোখে পড়েছে। ৬ আসনেই বাজিমাত করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। বিরোধীদের যদিও দাবি, বাংলায় ভোটপ্রক্রিয়াই হয় না! লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেই ভোট লুট হয়েছে, বেশিরভাগ বুথে এজেন্ট বসানো যায়নি। আর এটা তো উপনির্বাচন!