বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশ। এখন রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) উদ্যোগে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা যায় বড় বড় উড়ালপুল (Flyover)। এই ধরনের উড়ালপুল বা ফ্লাইওভারের জন্য গতি এসেছে যানবাহনে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) সৃষ্ট ফ্লাইওভার
সহজ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। আজকের প্রতিবেদনে আমরা শহরের এমন একটি উড়ালপুল সম্পর্কে আলোচনা করব সেটির সম্পর্কে হয়ত অনেকেই জানেন না। কিছু বছর আগে পর্যন্ত বজবজ, বাটা এলাকায় যাওয়া বেশ হয়রানির কারণ ছিল সবার কাছে। এইসব এলাকায় এতটাই যানজট হত যে অনেক ট্যাক্সিচালক গাড়িতে মহেশতলার যাত্রী তুলতেও অস্বীকার করতেন।
তবে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) উদ্যোগে এই এলাকায় তৈরি করা হয় উড়ালপুল। উড়ালপুল তৈরির পর মহেশতলা এলাকার যানজট সমস্যা অনেকটাই মিটেছে। একটা সময় পর্যন্ত শহরের দীর্ঘতম উড়ালপুলের খেতাব ছিল মা ফ্লাইওভারের। তবে বর্তমানে সেই খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছে জিনজিরা বাজার থেকে বাটামোড় পর্যন্ত বিস্তৃত সম্প্রীতি উড়ালপুল।
আরোও পড়ুন : একবার রিচার্জ করুন, ৩ মাস ফুর্তিতে থাকুন! ধামাকা অফার Airtel’র, সুবিধা দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন
সম্প্রীতি উড়ালপুলের ফলে বজবজ, বাটা, পূজালিসহ মহেশতলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের প্রভূত সুবিধা হচ্ছে বলে মত অনেকের। তারাতলার সাথে বজবজ এলাকাকে সংযুক্ত করেছে বজবজ ট্রাঙ্ক রোড। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অনেকটাই সংকীর্ণ। তাই একটা সময় বড় বড় পণ্যবাহী গাড়ি, চারচাকা ও বাস চলাচলের ফলে তৈরি হত তীব্র যানজট।
এই সমস্যার সমাধানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government) ২০১৪ সালে নতুন উড়ালপুল (Flyover) তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এল অ্যান্ড টি সংস্থা ২০১৮ সালে সম্প্রীতি উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ করে। ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন ৩৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই উড়ালপুলের। দুটি লেনযুক্ত সম্প্রীতি উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য ৭.৫ কিমি।