বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে…’, প্রাণীকুলে এই প্রবাদটি যেন চিরসত্য। জন্ম নিলেই কালের নিয়মে একদিন না একদিন ছেড়ে যেতে হবে পৃথিবী। জন্ম হলেই হবে মৃত্যু। তবে জীবনের যে কটা দিন আমরা সমাজে বসবাস করি সে কটা দিন আমাদের মেনে চলতে হয় হাজারো নিয়ম। আমাদের জীবনযাপনের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে সামাজিক-রাজনৈতিক-দেশীয় হাজার নিয়ম-নীতি।
আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ভোটার-আধার-প্যানকার্ড-পাসপোর্ট বিভিন্ন ধরনের অর্থ বহন করে। সরকারি কাজ তো বটেই, জীবনের নানান কাজে প্রয়োজন হয় এই ডকুমেন্টসগুলি। তবে কারোর মৃত্যুর পর ভোটার-আধার-প্যানকার্ড-পাসপোর্টের মতো নথিগুলি (Documents) নিয়ে কী করতে হয় সেই বিষয়ে ধারণা থাকে না স্বজনদের। কারোর মৃত্যুর পর কীভাবে সেই নথিগুলি (Documents) বন্ধ করবেন, আজ জেনে নেব সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলি।
মৃত্যুর পর গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো (Document) কি করবেন
ভোটার কার্ড: কারোর মৃত্যুর পর ভোটার কার্ড (Voter Card) সারেন্ডার করার জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে পূরণ করতে হবে ফর্ম ৭। সেই ফর্ম পূরণ করে তারসাথে জমা দিতে হবে ডেথ সার্টিফিকেটের জেরক্স।
আধার কার্ড: আধার কার্ড (Aadhaar Card) বন্ধ করার নিয়ম না থাকলেও সেটিকে লক করা যেতে পারে। www.uidai.gov.in- পোর্টালে ভিজিট করে যেতে হবে ‘My Aadhaar’ সেকশনে। Lock/Unlock Biometrics-এ ক্লিক করে ১২ সংখ্যার আধার নম্বর প্রদান করতে হবে। তারপর OTP-এর মাধ্যমে লগইন করলে আধার বায়োমেট্রিক ডেটা লক/আনলক করার বিকল্প পাওয়া যাবে।
আরোও পড়ুন : ১৫ হাজার কোটি টাকার চোখ ধাঁধানো বাড়ি, অ্যান্টিলিয়া তৈরি হওয়ার আগে কোথায় থাকতেন মুকেশ অম্বানির পরিবার?
প্যান কার্ড: প্যান কার্ড (PAN Card) হোল্ডারের মৃত্যুর পর আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেন আয়কর দপ্তরের সাথে। মৃত ব্যক্তির প্যান কার্ড সারেন্ডার করার আগে তার নামে থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্ট স্থানান্তরিত করতে হবে অন্য কারোর নামে।
পাসপোর্ট : পাসপোর্ট (Passport) সারেন্ডার করার নিয়ম নেই। বৈধতা শেষ হলে পাসপোর্ট নিজে থেকেই নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে পাসপোর্ট হোল্ডারের মৃত্যুর পর আত্মীয়দের সেটি সাবধানে রেখে দেওয়া উচিত যাতে সেটির অপব্যবহার কেউ করতে না পারে।