PPE কিটের দাবি জানানোয় চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে মারধর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্ধ্র প্রদেশের (Andhrapradesh )বিশাখাপত্তনম(vishakapattanam) জেলার নরসীপট্টনম অঞ্চলে খালি বদন বিচ রোডে একজন ডাক্তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। আর এই প্রতিবাদের জন্য পুলিশ তাদের সেখান থেকে গাড়ি  করে থানায় নিয়ে যায়। নরসীপট্টনম সরকারী হাসপাতালে করোনার রোগীদের চিকিত্সার সময় চিকিত্সকরা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় সরকারের কাছে পিপিই কিট এবং এন -৯৯ মাস্ক  চাওয়া হয়ে। চিকিৎসক সুধাকরও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন । আর এভাবে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ব্যাপার প্রকাশ করার  অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় ওই ডাক্তার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশের তীব্র নিন্দা হয়েছে 

শনিবার তিনি  রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় শুয়ে পড়েন।  আর এরপর  মুখ্যমন্ত্রী জগমনমোহন রেড্ডির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন  । এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে  বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তবুও তিনি রাজি হন নি। এরপরে  তাকে পিঠের পিছনে হাত বেঁধে অটোতে বসে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর পুলিশের এই আচরণ দেখে অবাক আম জনতা।
প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী দেভিনেণী উমা বলেছেন, ” এত বড় শহরের একটি সরকারী হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার সুধাকর যখন ডাক্তারদের করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য পিপিই কিট এবং এন -৯৯ মাস্ক  চেয়েছিলেন তখন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, এবং কখন তারা যখন সরকারের নির্দেশে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে আসে, পুলিশ তাদের পিছনে হাত বেঁধে একটি অটোতে ফেলে দেয়। একজন প্রবীণ চিকিৎসকের এই আচরণ কি মানা সম্ভব? ” আর এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর