এক হাতেই ১৫ জন মনিষীর ছবি এঁকে বিশ্ব রেকর্ড কিশোরীর! ভূয়সী প্রশংসা করলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের প্রতিটি প্রান্তে এমন কিছুজন থাকেন যাঁরা তাঁদের অনবদ্য সব গুণের ওপর ভর করে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে ওঠেন। যদিও, অনেক সময়ে তাঁরা সঠিক সুযোগ এবং পরিচিতি না পাওয়ায় বহুদূর এগোতে পারেন না। তবে, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে তাঁদের প্রসঙ্গ পৌঁছে যাচ্ছে সকলের কাছে। এমতাবস্থায়, সম্প্রতি দেশের অন্যতম ধনকুবের আনন্দ মাহিন্দ্রাও (Anand Mahindra) একটি অবাক করা ভিডিও সামনে এনেছেন।

যেখানে, এক কিশোরীর অপরূপ শিল্পসত্তার প্রকাশ ঘটেছে। মূলত, ওই ভিডিওটিতে থাকা কিশোরীটি এক হাতের ব্যবহার করেই ১৫ জন মহান ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতি এঁকে ফেলেছে। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে সে। এমনকি, ইতিমধ্যেই সে এই বিরল কৃতিত্বের জন্য বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ভিডিওটিই এখন মাহিন্দ্রার সৌজন্যে তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

মূলত, এই ভিডিওটিতে কিশোরীটি বাঁশের লাঠি দিয়ে একটি মাল্টিব্রাশের মত জিনিস তৈরি করে একইসাথে ১৫ জন মহান ব্যক্তির ছবি এঁকে ফেলে। বিভিন্ন রঙের কলম দিয়ে মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, স্বামী বিবেকানন্দ, সর্দার প্যাটেল থেকে শুরু করে আরও অনেক মহান ব্যক্তিত্বের ছবি ফুটিয়ে তোলে ওই কিশোরী।

বিষ্ময় প্রকাশ করেন আনন্দ মাহিন্দ্রা: এমতাবস্থায়, আনন্দ মাহিন্দ্রা এই ভিডিওটি শেয়ার করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “এটা কিভাবে সম্ভব? স্পষ্টতই এই মেয়েটি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। কিন্তু একবারে ১৫ টি প্রতিকৃতি তৈরি করা যেকোনো শিল্পের চেয়েও বেশি। এটি অবাক করেছে।” পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “ওই মেয়েটির আশেপাশে কেউ এই ভিডিওটি নিশ্চিত করতে পারে। যদি এটি সত্য হয়, তাহলে এই মেয়েটিকে উৎসাহিত করা উচিত। আমি তাকে স্কলারশিপের মাধ্যমে বা অন্যান্য যে কোনো উপায়ে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা নেটমাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় থাকেন। পাশাপাশি, তিনি বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের প্রসঙ্গ সবার সামনে উপস্থাপিতও করেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেন মাহিন্দ্রা। আর সেই কারণেই নেটমাধ্যমে ক্রমশ অনুরাগীর সংখ্যা বাড়ছে তাঁর।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর