অভিনব বুদ্ধি লাগিয়ে একের পর এক ট্রাফিক জরিমানা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তি, তারপরেই খুলে গেল পোল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাস্তায় সঠিকভাবে চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ম (Traffic Rules) মেনে চলতে হয়ে প্রত্যেককেই। বিশেষ করে যাঁরা বাইক বা গাড়ি নিয়ে চলাচল করেন তাঁদের আরও বেশি করে সতর্ক হতে হয়। মূলত, সেক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি রাস্তায় থাকা বাকি পথচারীদেরও যাতে আপনার জন্য অসুবিধে না হয় সেই দিকেও নজর দিতে হয়। এমতাবস্থায়, যাতায়াতের সময়ে যে কোনো ধরণের গাফিলতি নজর এলেই নিয়ম ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয় উপযুক্ত পদক্ষেপ।

এমনকি, সারা বিশ্বজুড়েই এই নিয়ম চালু রয়েছে। তবে, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা এমন একজন ব্যক্তির প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যিনি সুচতুর ভাবে এড়িয়ে যেতেন একের পর এক ট্রাফিক জরিমানা। যদিও, শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় তাঁর সমস্ত জারিজুরি। মূলত, ট্রাফিক জরিমানা এড়াতে ওই ব্যক্তি এমন কৌশল বের করেছিলেন যা শোনার পর সবাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করলেও সেই সংক্রান্ত জরিমানাটি অন্য একজনের নামে ইস্যু হত।

এমতাবস্থায়, আবু ধাবিতে, একজন মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, ওই মহিলা জানান যে, ব্যক্তিটি তাঁর গাড়ি চুরি করে ওই গাড়ির মাধ্যমেই বেশ কয়েকটি ট্রাফিক নিয়মের লঙ্ঘন করেছেন। আর এদিকে, জরিমানা বাবদ বিল আসতে থাকে মহিলার নামে। এমতাবস্থায়, তিনি ওই ব্যক্তিকেই সমস্ত জরিমানা দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই মহিলার নামে প্রায় ৫,০৮,০০০ দিরহামের জরিমানা ইস্যু করা হয়েছে।

মহিলার গাড়ি চুরি করে ক্রমাগত ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করেন ব্যক্তি: উল্লেখ্য যে, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিটি মহিলার গাড়িটি চুরি করে তার মাধ্যমে বারংবার ট্রাফিক আইন অমান্য করেছেন। যার ভিত্তিতে আসতে থাকে জরিমানার বিল। এমনকি, এই সংক্রান্ত তদন্তের পরে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এমতাবস্থায়, ওই ব্যক্তিকে আবু ধাবির ফৌজদারি আদালত এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, ৫০০ দিরহাম জরিমানাও করা হয়েছে।

abu dhabi,Man,Woman,Car,traffic rules,traffic violations,International

শেষপর্যন্ত মামলাটি বাতিল হয়ে যায়: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শেষপর্যন্ত এই মামলাটি বাতিল হয়ে যায়। জানা গিয়েছে যে, ওই মহিলাটি এই মামলা সম্পর্কিত কোনো নথি উপস্থাপিত করতে না পারায় এই ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি, ওই মহিলা আদালতের ফিও পরিশোধ করেন নি। যে কারণে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর