একরত্তি খুদের এই বেঁচে থাকার গল্প, স্বনির্ভরতার গল্প, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

 

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মানুষ অনেক সময় নিজেদের ছোট ছোট না পাওয়া নিয়েই মুষরে পরে। তারা নিজের হাতে স্পর্শ করতে পারে, নিজের পায়ে চলতে পারে, নিজের চোখে দেখতে পারে, কথা বলতে পারে, কথা শুনতে পারে। তাও তারা বিষন্ন হয় অনেক ছোটো ছোটো না পাওয়া গুলোকে নিয়ে। অনেক সময় তা অর্থ, অনেক সময় সুখ, অনেক সময় তো তা বিলাসিতা। অবশ্য দুঃখ বিলাসিতা চিরকালীন ই মনুষ্য জাতির ধর্ম। কিন্তু যাকে ভগবান তার শরীরের সব কটি অঙ্গ কে সম্পূর্ণ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে সেই মানুষ নিজের ছোট ছোট না পাওয়া গুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেক সময় ভুলে যায়, এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যারা সেটুকুও পারেনা। তাদের নিজের অঙ্গ গুলো সম্পূর্ণ করে পাঠায়নি বিধাতা। কিন্তু তবু তারা হাসে। তারা বাঁচে। তারা বাঁচার চেষ্টা করে প্রতি মুহূর্তে। এক একরত্তি  খুদে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মুষড়ে পড়া নয়, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জিতে পথ চলারই নাম জীবন!

IMG 20190923 212455

 

এই গল্প জন্ম রাশিয়ার এক বাসিন্দা ভাসিলিনার। জন্ম থেকেই তার হাত নেই।  কিন্তু তাও হার মেনে জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি সেই শিশু। বরং প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, পায়ের আঙুলে কাঁটাচামচ ধরে খাবার খেতে শিখেছে।সে ঠিক করে নিয়েছে, সে বাঁচবেই। আর বাঁচার মতন করেই বাঁচবে।পায়ের সাহায্যে সুন্দর ব্যালান্স করে প্রতিটা গ্রাস মুখেই তুলে নেয়। রাশিয়ার এই একরত্তির মেয়ের এই অদম্য ইচ্ছা শক্তির গল্পই  এখন ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়। শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই ভিডিও শেয়ার করেন ।যাতে  দেখা যায়, বেবি চেয়ারে বসে আছে সেই একরত্তি খুদে! সামনের টেবিলে রয়েছে খাবার। কেউ খাইয়ে দিচ্ছে না, কাঁটাচামচ দিয়ে দিব্য একাএকাই খাবার খাচ্ছে শিশুটি। কিন্তু হাত দিয়ে নয়, একরত্তির ভরসা দুটো পা। কিন্তু তাও হেরে যায়নি। মুখে হাসি নিয়ে নিজের কাজ সে নিজেই করছে। অক্ষমতা তাকে কারুর ওপর নির্ভর করতে শেখায়নি।

সম্পর্কিত খবর