করোনা ভাইরাসের বাহক মানুষ , এমনটাই দাবী চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের

ভাইরাস ঘটিত একাধিক রোগ আমরা দেখতে পাই । তবে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর অবসেশে একথা প্রমানিত যে করোনা ভাইরাসের বাহক মানুষ। মানুশেরে সঙ্ক্রমে ছড়াচ্ছে এই রোগ । তবে এইকথা আগে জানা ছিলোনা কারোর। শরীরে এই রোগ প্রথম আসে সামুদ্রিক খাবার থেকে। আর গবাদি পশুরা এই খাবার খাওয়ার পর তাদের শরীরে এই জীবানু প্রবেশ করে ।

সেখান থেকে আবার তাদের মাংস খেলে তা আবার মানুষের শরীরে পুনরায় প্রবেশ করে। এইভাবে এক এক করে শরীরে দানা বাধে এই রোগ।জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত রুগীরা । এরপরে রক্তপরীক্ষায় ধরা পড়ছে এই করোনা ভাইরাস। চিনে প্রথম এই রোগ হলেও চিন থেকে আরো অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। তাতে আতন্কিত হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষ।

   

 

কারন চিনের পাশাপাশি  জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় চিন থেকে যাওয়া যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে, দেখা হচ্ছে তাদের শরীরে এই ভাইরাস আছে কিনা । এছাড়া বাংলাদেশ এবং আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এই এক নিয়ম করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরেও রাতারাতি জারি হয়েছে সতর্কতা। সব মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য আরো নিয়ম করে সব জায়গায় পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  করোনা ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক স্তরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ‘বিপজ্জনক’ তকমা দেওয়ার কথাও ভাবছে।

এর আগে যে ভাবে সোয়াইন ফ্লু এবং ইবোলা ছড়িয়ে পড়ছিলো , তেমনভাবে এই রোগ যাতে না সংক্রমন ছড়ায় সেই জন্য সব্রকম ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই রোগে মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ । তাই যাতে আর কোনও মানুষ না মারা যায় সেই জন্য আগে থেকেই সৎর্ক করা হচ্ছে সব দেশের মানুষদের। সব মিলিয়ে খুব উদবেগে আছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ।

সম্পর্কিত খবর