সরস্বতী পুজোর দিন পুর ভোট, এই নিয়ে অশান্ত ঢাকা

এবছর সরস্বতী পুজোর দিন ঢাকায় হতে চলেছে পুরভোট। এবার এই নিয়ে একটা টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ঢাকায় বলা যেতে পারে ঢাকার প্রশাসনের চিন্তা বেড়ে গেছে কিন্তু তাতেও কোনো ভাবে ভোটের দিন বদলাবে না এমনটাই জানিয়েছে  ঢাকা নির্বাচন কমিশন।

সরস্বতী পুজো এখন কোনো অংশে অন্য কোনো ফেস্টিভ্যাল থেকে কম যায়না।আর সেই ক্ষেত্রে আবার এইদিনে পুর ভোট পড়ে গেলে সাধারণ মানুষের অনুষ্ঠান ভেস্তে যেতে পারে। সকালে উঠে সরস্বতী দেবীর আরাধনায় যখন সবার ব্যাস্ত থাকার কথা তখন যদি ভোটার কার্ড নিয়ে বুথে পৌঁছাতে হয়, তবে তো আমজনতা থেকে ভক্তকুলের পোয়া বারো।

 

 

 

saraswati puja 2017 650x400 71485252181

 

আগামী ৩০ জানুয়ারি  ২০২০ তে পড়েছে সরস্বতী পূজো, আর এই দিনই ভোট নেওয়া হবে ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনে।  ভোটের দিন পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টে গিয়েছিল পুজো কমিটিগুলি।  কিন্তু  কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হয়নি এই আবেদন।ভোটের দিন বদল করতে অস্বীকার করে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি মহম্মদ খাইরুল আলম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ। এরপরেই পূজো কমিটির সদস্যরা ঠিক করেন সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার. সেই নিয়ে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা।

এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ।  বিক্ষোভ দেখানো হয় শাহবাগে। এই নিয়ে সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ দেখাতে হাতে হাত রেখে মানব বন্ধনও তৈরি করে। সাধারণ মানুষের চাপা ক্ষোভ এতটাই তীব্র হয়ে পড়ে যে  ব্যাস্ত সময়ে রাস্তা অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শয়ে শয়ে পড়ুয়ারা।নির্বাচন কমিশন না মানলে প্রয়োজনে যা যা করণীয় সব টাই করবো এমনটাই জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্রনেতা ও প্রতিবাদী পড়ুয়াদের মুখপাত্র উত্পল বিশ্বাস। ২০১৯এর ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ নির্বাচনের দিন ঠিক করা হলেই বিগড়াতে বসে সাধারণ মানুষ। স্কুল, কলেজ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয় সরস্বতী পূজো. আর সেইদিন পুরভোট মেনে নিতে নারাজ আমজনতা থেকে পূজো কমিটি।সব নিয়ে এই অচলবস্থার কি পরিণতি হয় সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে ঢাকার নাগরিকরা।

সম্পর্কিত খবর