২০ জনেরও বেশি মাওবাদী ঢুকে রয়েছে যাদবপুরে, দাবি এবিভিপির

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে এ বার মুখ খুলল এবিভিপি৷ বৃহস্পতিবার এবিভিপির অনুষ্ঠান ঘিরে যে ভাবে যাদবপুর ক্যাম্পাস চত্বর উত্তাল হয়ে উঠেছিল তা আবারও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলার দিকেই প্রশ্ন তুলেছে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চত্বরেই কুড়ি জন মাওবাদী রয়েছে এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছে বলে দাবি করল এবিভিপি৷ শুধু তাই নয় ওই মাওবাদী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সংগঠনকে জায়গা দিতে চায় না, এমনকি হিংসাত্মক আচরণ অবধি করে এমনটাই জানাল এবিভিপি৷

একই সঙ্গে ওই ছাত্র বহিরাগত নয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেই দাবি করেছেন এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার৷ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানেন এবং জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ তাই এবার সেই কুড়ি জন মাওবাদী ছাত্রের নামের তালিকা এবিভিপির তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করল তারা৷ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই নয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছেও তাঁদের নামের তালিকা জমা দিয়ে ঘটনার বিহিত করতে চান এবিভিপির পড়ুয়ারা৷

   

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এবিভিপি র অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় উপস্থিত হওয়ার পর যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার গোলপার্ক থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর অবধি মিছিলের ডাক দিয়েছিল এবিভিপি৷ কিন্তু মিছিল যোধপুর পার্ক পৌঁছনোর পরেই এবিভিপি দাবি করেছে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় এমনকি তাঁদের সদস্যদের উপরেও মারধর করে৷

তাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে এবং প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আর অন্য কোনও সংগঠন কেন প্রবেশ করতে পারবে না বা স্থান পাবে না? সেই বিষয়ে উপাচার্যের কাছ থেকে উত্তর জানার অপেক্ষায় এবিভিপির পড়ুয়ারা৷ উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতি দিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা এবং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন৷

সম্পর্কিত খবর