রীতিনীতি মেনেই বিধবা বউমার বিয়ে দিলেন শ্বশড়-শাশুড়ি,নিজের মেয়ের মতো করে দিলেন বিদায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শাশুড়ী বৌমার সম্পর্ক মানেই যেন সাপে নেউলের সম্পর্ক। এমনটাই বিশ্বাস করে সবাই। কিন্তু অন্য ঘটনার সাক্ষী রইল সবাই।  ৩ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে স্বামী। তারপর থেকেই শাশুড়ি ও শ্বশুর নিয়ে সংসার করতেন বউমা। দিনরাত তাদের সেবায় নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতেন। বিধবা (Widow) পুত্রবধূকে বিয়ে দিলেন। কন্যার মতো বাড়ি থেকে বিদায় নিলেন শাশুড়ি।

শাশুড়িও একদিন পুত্রবধূ ছিলেন। তাই বউমার কষ্টটা খবুব সহজেই বুঝতে পারছিলেন।  বেদনা এতটা ভাল করে বুঝতে পেরেছিল যে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পরে তার পুত্রবধূ তার জীবনকে আবার সুন্দর করে তুলেছে। বিধবা পুত্রবধূ তার হাত হলুদ করে তার জীবনকে এক নতুন রঙ দিলেন। ঘটনাটি এমপি রতলামের। যেখানে শাশুড়ী তার পুত্রব্ধূকে মেয়ের মতো তার পুত্রবধূকে আবার বিয়ে দিলেন এবং পুরো রীতিনীতি মেনেই তিনি বউমার বিয়ে দেন।

লকডাউনের মধ্যে বিয়ের আলোচনাটি শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিধবা বউমার বিয়ে দেন। চোখের জলে বিদায় দিলেন বউমা। রতলামের কাটজু নগরের বাসিন্দা.৬৫  বছর বয়সী সরলা জৈনের ছেলে মোহিত জৈন (Mohit Jain)। আষ্টার বাসিন্দা সোনমের সাথে বিয়ে হয়েছিল। ৩ বছর পর পুত্র মোহিত বিয়ের ৩ বছর পরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ৩ বছর ধরে পুত্রবধু সোনম তার স্বামীর প্রতি নিবিড়ভাবে সেবা করেছিলেন কিন্তু মোহিত জীবনের লড়াইয়ে হেরে গেছেন। তার পরেও সোনম তার শ্বশুরবাড়ির সাথে মেয়ের মতো থাকতে শুরু করেছিলেন। জামাই সোনমের সেবা এবং তার জীবনের সুখের যত্ন করতেন। তার ভাই ললিত কাঁথ্রেড এবং সোনমের পরিবারে পুনরায় বিবাহের কথা ভাবেন।

পরিবারের নাগদ বিয়ে করতে হয়েছিল। হোটেলটিও বুক করা ছিল, তবে লকডাউনের কারণে সমস্যা শুরু হয়েছিল। মোহিতের মামা ললিত কাঁথাদনে প্রশাসনের সাথে কথা বলেছিলেন এবং তার পুত্রবধূ সোনমকে আবার বিয়ে দিলেন।

কন্যা হিসাবে চলে গেলেন। সোনমের শাশুড়ি ৬ বছর আগে তাকে পুত্রবধূ হিসাবে বাড়িতে নিয়ে আসে। সোমবার তিনি সোনমকে মা হিসাবে বিদায় জানান। এই উপলক্ষে সোনমের শাশুড়ির চোখের জল অশ্রুতে ভরে উঠল। বিদায়ের সময় উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তি আর্দ্র ছিল।

সম্পর্কিত খবর