“পরিকল্পিত হামলা!” হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব আদানিদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা “হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ”-এর রিপোর্টে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির (Gautam Adani) প্রসঙ্গে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনা হয়। যেখানে দাবি করা হয় যে, রীতিমতো “জালিয়াতি”-র মাধ্যমে নিজেদের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন আদানিরা। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি কারচুপি করে শেয়ারের দর (স্টক ম্যানিপুলেশন) বাড়িয়েছেন বলেও দাবি করা হয় ওই রিপোর্টে।

এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগের পর থেকে একাধিক প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেছে। এমনকি, তোলপাড় হয়েছে শেয়ার বাজারও। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সোমবার বাজার খোলার আগে পর্যন্ত ক্রমাগত কমেছে আদানিদের শেয়ারের দর। যার জেরে এক ধাক্কায় বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সংস্থা।

শুধু তাই নয়, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার তথা বর্তমানে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমান অনেকটাই কমেছে। যার জেরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকায় আদানি এক ধাক্কায় চতুর্থ স্থান থেকে নেমে এসেছেন সপ্তম স্থানে।

কি জানিয়েছে আদানি গ্রূপ: এদিকে, আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গের এহেন চাঞ্চল্যকর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আদানি গ্রূপ। শুধু তাই নয়, এবার ওই সংস্থার বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ এনেছে তারা। এমতাবস্থায়, আদানি গ্রূপ দাবি করেছে যে, ওই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের উপর রীতিমতো “পরিকল্পিত হামলা” করা হয়েছে। এমনকি, তারা আরও জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গের মূল উদ্দেশ্য হল মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ভারতীয় সংস্থার বদনাম করা।

মূলত, হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, গত কয়েক বছরে আদানি গ্রূপের একাধিক সংস্থার CFO পদত্যাগ করেছেন। যদিও, আদানি গ্রূপের তরফে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানানো হয়েছে, ওই কর্তারা সংস্থার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁরা কেউই পদত্যাগ না করে বৃহত্তর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টটি ছিল মোট ৩২ হাজার শব্দের। এমতাবস্থায়, ওই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এবার ৪১৩ পাতার জবাব দেন আদানিরা। ইতিমধ্যেই গত রবিবার আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার ওই সংস্থার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। শুধু তাই নয়, হিন্ডেনবার্গ যে ৮৮ টি প্রশ্ন করেছিল, তার মধ্যে ৬৮ টি প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে আগেই প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

Gautam Adani Money

এদিকে, ওই প্রশ্নগুলি জনগণের নজর অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টার জন্যই করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে আদানি গ্রূপ। পাশাপাশি, আরও জানানো হয়েছে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে আমেরিকার ওই সংস্থার কোনো ধারণা নেই। এমনকি, ভারতের বাজারে পুঁজি সংগ্রহের প্রক্রিয়া কিভাবে এগোয়, সেটি সম্পর্কেও অজ্ঞাত তারা। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু উদাহরণও দেওয়া হয়েছে আদানিদের তরফে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর