ভারতকে ১৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা ADB এর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত করোনাভাইরাস (corona virus) সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। এই ভাইরাসের জেরে অনেক মানুষ মারা গেছে। অনেকে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ভারত যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন মাসাতসুগু আসাকাওয়া (Masatsugu Asakawa)। শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharamanake) ফোন করেন এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (Asian Development Bank) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া। করোনা মোকাবিলায় ভারত যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন, অতিমহামারী মোকাবিলায় ভারতকে ২২০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেবে এডিবি।

coronavirus test tube reuters 1583766881

করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রক। ওই অর্থে সমাজের দরিদ্রতর শ্রেণির মানুষ, মহিলা ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ত্রাণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।আসাকাওয়া এদিন বলেন, “এডিবি ভারতকে আপৎকালীন সময়ে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা এখনই ২২০০ কোটি ডলার সাহায্য করতে তৈরি। প্রয়োজনে ভারতকে আরও সাহায্য করা হবে।” গত ১৮ মার্চ এডিবি ঘোষণা করে, ভারত সহ তার সদস্য দেশগুলিকে আপাতত ৬৫ হাজার কোটি ডলার সাহায্য করা হবে।

11baebb3 b5e9 4988 bc5f 99da9eebbe1c 1

এর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনার ধাক্কা নিয়ে গুরুতর আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড তথা আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জিওর্জিয়েভা (Kristalina Giorgieva)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, করোনার কারণে যে ক্ষতি হবে তা বিগত শতাব্দীর সমস্ত বিপর্যয়ের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির গ্রাফ গোত্তা খেয়ে নীচের দিকে নামবে। এই ধাক্কা সামলাতে ব্যাপকতম উদ্যোগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশ্ব অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান। আইএমএফ-এর ১৮০ জন সদস্যের মধ্যে ১৭০ জন সদস্য প্রমাদ গুনছেন, সারা পৃথিবীতে মামুষের মাথাপিছু গড় আয় এক ধাক্কায় কমে যাবে।

জিওর্জিয়েভা আরও বলেছেন, “আমাদের অনুমান, মহামন্দার পর এই প্রথম এত বড় ঝড় আছড়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।” আগামী সপ্তাহে আইএমএফ এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আইএমএফ মনে করছে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ভাইরাসের প্রভাব থাকবে অর্থনীতিতে। বেশ কিছু দেশের বেশ কিছু অংশে লকডাউনও জারি থাকবে। অর্থনীতি যে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ল, আগামী বছর এর সামান্য অংশ মেরামত হবে। তাঁর কথায় স্পষ্ট, এ বছর অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার কোনও জায়গা নেই।

asd

তবে বিশ্ব অর্থনীতি যে গুরুতর অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গিয়েছে সে কথা গোপন করেননি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। তিনি বলেন, বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। সমস্ত দেশকে ব্যবসার লাইফলাইন শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ ব্যাপক অংশের মানুষের হাতে ন্যূনতম ক্রয়ক্ষমতা যাতে থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারগুলিকে। তা না হলে বাজারে চাহিদা তৈরি হবে না। ফলে ভাইরাসের প্রকোপ কমার পর উৎপাদন শুরু হলেও তা ধাক্কা খাবে।

সম্পর্কিত খবর