বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বালি পাচার (Sand Smugling) নিয়ে সম্প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত বৃহস্পতিবার নবান্নের (Nabanna) বৈঠক থেকে এই ইস্যুতে বীরভূমের জেলা প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। তারপরেই হল কাজ! বালি পাচার রুখতে বুধবার রাতে গোপন অভিযান চালানো হয়। আটক করা হয় একাধিক লরি।
বালি পাচার নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর, নানুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বহুদিন ধরেই বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পাইপের মাধ্যমে পাম্প দিয়ে নদীর নীচ থেকে দেদারে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়ে বীরভূমের জেলা প্রশাসন। তার জেরেই এই ‘অ্যাকশন’ বলে মনে করছেন অনেকে।
জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর বুধবার রাতে বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর, নানুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। আটক করা হয় বালির লরি। মমতার ‘ধমকে’র পরেই জেলা প্রশাসনের এই ‘সক্রিয়তা’ কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুনঃ সন্দেহের তালিকায় ‘ওই’ ৪ জন! আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা যা বললেন… ফের নয়া মোড়?
উল্লেখ্য, বালি পাচার নিয়ে বীরভূমের জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করার পর গত শুক্রবার বোলপুর গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant) এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে বালি পাচার নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই সামনে এল অভিযানের খবর।
জানা যাচ্ছে, মমতার (Mamata Banerjee) ‘ধমক’ এবং ওই বৈঠকের পর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বীরভূমের অবৈধ বালি পাচারের দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। এরপর বুধবার রাতে গোপন অভিযান চালানো হয়। তাতে আটক করা হয়েছে একাধিক বালি পাচারের লরি। ইতিমধ্যেই ওই লরির মালিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্র উদ্ধৃত করে রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।