হাতির পর এবার নৃশংসতার শিকার বাঁদর, জলের ট্যাঙ্কে বিষ দিয়ে মারা হল ১৩ টি বাঁদরকে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবার অমানবিকতার পরিচয় পাওয়া গেল অসমে (Assam)। সম্প্রীতি, কেরলে হাতির মৃত্যু নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছিল দেশবাসী। সেই রেশ মিটতে না মিটতেই এক মাসের আরেক হাতির ঘটনা চোখের সামনে এসেছিল। যা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। সেই ক্ষত শুকনোর আগেই বারবার সামনে আসছে একাধিক নৃশংসতার ছবি। রবিবার একটি জলের ট্যাঙ্কে ১৩ টি বাঁদরের মৃতদেহ পাওয়া গেল। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের চাচর জেলায়।

জানা গিয়েছে, শিলচর সংলগ্ন কতিরালি জল প্রকল্পের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র প্রদীপ্তকুমার দে বলেন, “রবিবার বিকেলেই জলাধারের মধ্যে বাঁদরগুলির মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা সুনিশ্চিত নই। তবে দুস্কৃতীরা রিসার্ভারের জলে বিষ মিশিয়ে থাকতে পারে। সেই জল খেয়েই হয়তো বাঁদরগুলির মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানাাচ্ছেন, এই জলাধার ৩৫০ পরিবারের‌ জলের একমাত্র উৎস। ঘটনার জেরে তাঁদের মধ্যেও ভয়াবহ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ওইদিনই খবর পেয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই বাঁদরগুলিকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। আগে থেকে জলাধারেই বিষ মিষিয়ে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা।

 

উল্লেখ্য, কেরলে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার ১, জানিয়েছেন কেরলের বনমন্ত্রী কে রাজু। ওই রাজ্যে যেভাবে বাজি ভর্তি আনারস খেয়ে ওই গর্ভবতী হাতিটির মৃত্যু হয় তাতে শিউরে ওঠে গোটা দেশ। অমানবিক এই ঘটনায় লজ্জায় মুখ ঢাকেন অনেকেই। কে বা কারা ওই আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় রাজ্য ও কেন্দ্র, উভয় সরকারের পক্ষ থেকেই। বৃহস্পতিবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন যে, ওঁই হত্যার ঘটনায় ৩ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ১ জনকে গ্রেফতার করল কেরল সরকার।

সম্পর্কিত খবর