বাংলাহান্ট ডেস্ক: হার না মানা জেদের নাম ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma)। পরপর দুবার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও দাঁতে দাঁত চেপে সব যন্ত্রণা সহ্য করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই দ্বিতীয় বারে লড়াইটা আরো কঠিন। যন্ত্রণায় শরীর অবশ হয়ে আসে। কিন্তু হার মানতে রাজি নন ঐন্দ্রিলা। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে যে মেয়েটা ক্যানসারের কাছে হার মানবে না সে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্যানসার ধরা পড়েছিল ঐন্দ্রিলার। অদ্ভূত ভাবে ছয় বছর আগে ২০১৫ তেও ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রথম বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সে সময় একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ছিল তাঁর। বাধ্য হয়ে এক বছর বাদ দিতে হয়েছিল তাঁকে। ঐন্দ্রিলা জানান, আগে থেকে কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি তাঁর শরীরে। দিব্যি হেসেখেলে বেড়াতেন, নাচগান সবই করতেন। শুধু হাঁপ ধরে ধরে যেত তাড়াতাড়ি, সঙ্গে মাথা ঘোরা।
ঐন্দ্রিলার বাবা সহ পরিবারের সকলেই মেডিকাল ফিল্ডে রয়েছেন। বাবাকে এই সমস্যার কথা বলেওছিলেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষা করেও কিছু ধরা পড়েনি। তারপর পরই হঠাৎ করেই পেটে একটি বড়সড় টিউমার দেখা দেয় ঐন্দ্রিলার। দিল্লিতে বাবা মায়ের তত্ত্বাবধানে প্রথম বার ক্যানসারের চিকিৎসা হয়েছিল বছর ষোলো-সতেরোর ঐন্দ্রিলার। নিতে হয়েছিল ৩৩ টি রেডিয়েশন। সে যন্ত্রণা বলে বোঝানোর মতো না।
এই সমস্ত কাহিনিই দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে হাসিমুখে বলেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন কেমোর পর প্রথমবার আয়নায় নিজের মুখ দেখার অভিজ্ঞতা। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐন্দ্রিলা বলেন, এখন যখন মেকআপ রুমে বসে তিনি মেকআপ করেন তখন সেই দিনটার কথা মনে পড়ে যায় তাঁর।
https://www.instagram.com/p/CSKjo23hMiC/?utm_medium=copy_link
কেমোর অসহ্য জ্বলুনি থেকে বাঁচতে মাঝরাতে উঠে চোখেমুখে জল দিতে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে যখন আয়নায় নিজেকে যখন দেখেন নিজেই চমকে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেন কেমোর পর সব চুল উঠে যায়। নিজের সেই চেহারা দেখে নিজেই চমকে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে বাবা, মা, দিদি সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তখন ঐন্দ্রিলা জানিয়েছিলেন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি।
কিন্তু ভাগ্যের ফের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। তবে এবারে আরো একজন মানুষকে পাশে পেয়েছেন তিনি, প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী। তিনিই জানিয়েছেন, চিকিৎসা চলছে ঐন্দ্রিলার। ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকেও এগোচ্ছেন তিনি।