বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথাতেই আছে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)। কেরিয়ার বানাতে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে এসেছিলেন তিনি। প্রথম ছবিই পরিচিতি দিয়েছিল জ্যাকলিনকে। প্রচুর ছবির সুযোগ না পেলেও জনপ্রিয়তা কম নয় তাঁর। বিশেষত সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বলে আলাদা খ্যাতি আছে জ্যাকির।
কিন্তু এখন পদে পদে হেনস্থা হতে হচ্ছে তাঁকে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে যেদিন থেকে তাঁর নাম জড়িয়েছে সেদিন থেকেই দুঃসময় শুরু হয়েছে জ্যাকলিনের। সুকেশের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আরো অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। ইডির চার্জশিটেও প্রতারণা মামলায় জড়িত হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রীর।
এর মধ্যে আবার জানা গিয়েছে, সুকেশের প্রতারক পরিচয় পেয়েও সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলেন জ্যাকলিন। শুধুমাত্র টাকা আর দামী উপহারের জন্যই নাকি সম্পর্কটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এমনকি সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন জ্যাকলিন। এই সিদ্ধান্তের কথা অক্ষয় কুমার ও সলমন খানকে জানিয়েছিলেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, নিজেকে ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ বলে জ্যাকলিনের কাছে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ। অক্ষয় এবং সলমন দুজনেই নাকি জ্যাকলিনকে সাবধান করেছিলেন সুকেশের ব্যাপারে। কিন্তু শুভাকাঙ্খীদের সাবধানবাণী অগ্রাহ্য করে দামী উপহারের লোভে যোগাযোগ বজায় রাখেন জ্যাকলিন।
জ্যাকলিনের ৭.২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এর আগে জ্যাকলিন দাবি করেছিলেন, তাঁকে জোর করে কিছু উপহার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই এটা উপেক্ষা করা যায় না যে তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন।
সঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছিলেন, তিনি আরো অনেক কিছু খুইয়েছেন যার মূল্য টাকা দিয়ে হয় না। যে সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে সেটা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর এতদিনের রক্ত আর ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমের ফসল বলে দাবি করেছিলেন জ্যাকলিন।