৫০০-১,০০০ টাকার নোট বন্ধ হওয়ায় মিলেছে এই সব সুবিধা, জানালেন RBI-এর সদস্যা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন। মূলত, ওই দিন তিনি দেশজুড়ে পূর্বে প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোটগুলিকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে, এহেন ঘোষণার পরে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় দেশজুড়ে। এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, এর ফলে দেশে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থ প্রদানের পরিষেবাকে উৎসাহিত করা হবে।

তবে, প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের তুমুল সমালোচনাও করে বিরোধীরা। এমতাবস্থায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) সদস্যা আশিমা গোয়েল কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির ঘটনাকে নোটবন্দির সুফল হিসেবে বিবেচনা করেছেন। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে তিনি সমস্ত বিষয়টির ভালো দিকটিও উপস্থাপিত করেছেন।

স্বল্পমেয়াদী খরচ: এই প্রসঙ্গে আশিমা গোয়েল স্বীকার করেছেন যে, নোট বাতিলের মত কঠোর পদক্ষেপের ফলে কিছু স্বল্পমেয়াদী খরচের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও, দীর্ঘ মেয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে এর কিছু সুবিধাও হবে বলে জানান তিনি। যার মধ্যে ডিজিটালাইজেশনের হার বৃদ্ধি, অর্থনীতির ক্ষেত্রে সুবিধা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার মত ঘটনা কমবে বলে মনে করেছেন তিনি।

মোট কর সংগ্রহ: ইতিমধ্যেই কর বিভাগ গত অক্টোবরে জানিয়েছিল যে, চলতি আর্থিক বছরে কর্পোরেট এবং ব্যক্তিগত আয়ের উপর মোট কর সংগ্রহের পরিমান প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়ে ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি, একটানা সাত মাস যাবৎ পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংগ্রহ ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে গত সেপ্টেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই পাইলট স্তরে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

Modi 1

ডিজিটাল যুগ: এদিকে, ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে, এর ফলে নগদ ব্যবহার হ্রাস এবং বর্তমানে থাকা পেমেন্ট সিস্টেমে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তিনি বলেন, “ডিজিটাল যুগে সিবিডিসি অবশ্যই নতুন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। এই মুদ্রা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সহজভাবে পৌঁছে গিয়ে খরচ কমিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর