বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! এবার ৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ হাজার হচ্ছে অটল পেনশন যোজনার টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প চালানো হয় সরকারের তরফে। এমতাবস্থায়, বর্তমান সময়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana)। মূলত, কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে অটল পেনশন যোজনা শুরু করেছিল।

এই যোজনার অধীনে যাঁরা অসংরক্ষিত ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁরা ৬০ বছর পেরোলেই পেনশন পেতে শুরু করেন। তবে, জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের ওপর নির্ভর করে ওই পেনশনের পরিমান। যদিও, এবার সেই পেনশনের টাকার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, দেশের বহু মানুষ এই পেনশন যোজনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এদিকে, সেই সংখ্যার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের কাছে পেনশন ফান্ডস রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (Pension Fund Regulatory and Development Authority, PFRDA) এই যোজনায় পেনশনের পরিমান বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিল। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, সেখানে প্রস্তাব করা হয় ওই পেনশনের পরিমান ৫,০০০ টাকা হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করা হোক। যদিও, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগওয়ান সিং কারাড জানিয়েছেন, ওই যোজনায় পেনশনের পরিমান বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

rupee money currency notes India GDP 1019x573 1

এই যোজনার সুবিধা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অটল পেনশন যোজনায় ৬০ বছর বয়সের পর একজন ব্যক্তি কত পেনশন পাবেন তা তিনি বেছে নিতে পারেন। মূলত, যে পাঁচটি ধাপে ওই পেনশন দেওয়া হয় সেগুলি হল ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০ এবং ৫০০০ টাকা। এমতাবস্থায়, এই পেনশনের পরিমানগুলি অনুযায়ী প্রিমিয়ামের পরিমান নির্ধারিত হয়। শুধু তাই নয়, এই পেনশন প্রকল্পের অন্যতম একটি সুবিধা হল বিমাকারীর হঠাৎ মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে তাঁর নিকট আত্মীয়ও ওই পেনশন পেতে পারেন। গোট বিষয়টি তত্বাবধানের দায়িত্বে থাকে পেনশন ফান্ডস রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর