কাশ্মীরে বাড়ানো হয়ছে ১০,০০০ সেনা, জঙ্গীদের অন্য চালে ভাতে মারার পরিকল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরে প্রতি নিহত সেনা বাড়ানো হচ্ছে ইতিমধ্যে প্রায় নতুন দশ হাজার সেনাকে পাহাড়ে নামানো হয়েছে। তারা ঠিক করছে কোন পথ দিয়ে জঙ্গি দমনে আটকানো যায়, শুধুই কি কাশ্মীরে জঙ্গি দমনের জন্য সেরা বাড়ানো হচ্ছে? সেই বিষয়ে কোন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে কিছু উত্তর পাওয়া যায়নি কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কাশ্মীরে ইতিমধ্যে ৪৪৪ ধারা জারি আছে এবং যেহেতু কাশ্মীরকে অধিকাংশ মুসলিম এবং তাঁরা দেশ বিরোধী কথাবার্তা বলে, তাদেরকে উৎখাত করা হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

যদি তাই হয় তাহলে সারা ভারতে মুসলিম সমাজ কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকবে, কারণ মুসলিম শক্তি যেখানে বেশি সেখানে তারা বারবার আঘাত আনার চেষ্টা করেছে কিন্তু ভারতে থেকে কিভাবে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া কাশ্মীর এক শ্রেণীর মানুষ তা বারবার দেখা গেছে। সাম্প্রতিক মোদি সরকার আসার পর কাশ্মীরের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কঠোর হাতে নিতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, ইতিমধ্যে সেনাপ্রধানদের সাথেই নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে আগামী দিন কাশ্মীরের শান্তি ফিরবে এবং অনুপ্রবেশকারীরা ভারত ছেড়ে অন্য দেশে পালাবে। এখন দেখার বিষয় কাশ্মীরের সত্যি কি শান্তি ফিরবে আবার ভূস্বর্গ কাশ্মীরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে?

তেমনটাই চাইছে ভারত সরকার কারণ তারা কাশ্মীরকে শান্ত রাখতে পারলেই গোটা পৃথিবীর কাছে ভারত জ্বলন্ত উদাহরণ হবে, কারণ কাশ্মীরে বারবার যেভাবে একটা শ্রেণীর মুসলিম সমাজ দেশ বিরোধী কথাবার্তা বলেছে এতে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়তে হয়েছে ভারতকে কারণ বিদেশ নিতির যে খসড়া রয়েছে, সারা দেশের কাছে ভারতকে জবাব দিতে হয় কি করে দেশের মধ্যে তারা দেশ দ্রোহী মানুষদের বসবাস করতে দিয়েছে? কিন্তু রাজনৈতিক যাঁতাকলে তা সম্ভব হয়নি।

এখন দেখার বিষয় মোদি সরকার কোনরকম ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় কিনা কিন্তু যেভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে তাতে কিছুটা হলেও কাশ্মীরের দেশদ্রোহীরা চাপে পড়বে এবং হেলিকাপ্টার ও ড্রান দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি ও তল্লাশি করা হচ্ছে। কারণ সাম্প্রতিক যতবার ভারতের উপর আঘাত আনা হয়েছে উরি,পাঠানকোট, বালাকোট যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনা কিছুটা হলেও ষড়যন্ত্র ছিল কাশ্মীরে অনুপ্রবেশকারীরা। যারা মূলত দেশদ্রোহী হয়ে দেশে থাকছে। এখন দেখার বিষয় কেন সেনা মোতায়েন করল ভারতবর্ষের স্বরাষ্ট্র দপ্তর।

সম্পর্কিত খবর