দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহাকে দেখতে পাচ্ছে না, অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গেছে কমিশনঃ অনুব্রত মন্ডল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় ২৪ ঘণ্টা ভোটপ্রচার বন্ধ থাকছে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির (mamata banerjee)। কমিশনের এই নির্দেশকে নানা ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন তৃণমূল নেতৃত্বরা। অনুব্রত মন্ডলের (anubrata mondol) কথায়, ‘কমিশন, অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গেছে। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে দেখতেই পাচ্ছে না’।

২৪ ঘণ্টা মমতা ব্যানার্জির ভোটপ্রচার বন্ধ রাখার প্রতিবাদে আসতে নেমেছে তৃণমূল। তোলপাড় হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করানোর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী কে ঘেরাও করার প্ররোচনা দেওয়া, হিংসায় উস্কানি দেওয়া এবং ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজ করার পর জবাব দিলেও, তা সন্তোষজনক নয়নি কমিশনের কাছে। কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, মমতা ব্যানার্জি জবাব দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি আসল বিষয় গুলোকেই কৌশলের মাধ্যমে এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে, সঠিক উত্তর না মেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ভোটপ্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বাতিল হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সভা সমাবেশও।

এই ঘটনার প্রতিবাদ করে কমিশনের উপর ক্ষোভ উগ্রে দিয়েছেন তৃণমূলের বিভিন্ন নেতৃত্বরা। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল কমিশনের দিকে তোগ দেগে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে দেখতে পাচ্ছেন না? আর এদিকে মমতা ব্যানার্জিকে ২৪ ঘন্টার জন্য ভোটপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল! জীবনে অনেক ভোট করেছি, কিন্তু এমন কমিশন ও কমিশনার কোনদিন দেখিনি’।

শুধুমাত্র অনুব্রত মন্ডল নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ, ডেরেক ও ব্রায়েনরাও। ডেরেক ও ব্রায়েনের কথায়, ‘এটা গণতন্ত্রের কালা দিন’। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন হচ্ছে বিজেপির শাখা সংগঠন’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর