বিজেপি নেতা সুমিত মণ্ডলকে দিদি’র পুলিশ বিনা কারণে অ্যারেস্ট করেছে,এমনই মন্তব্য করে আবার ভাইরাল অনুপমের ফেসবুক পোস্ট

বাংলাhunt ডেস্ক,বীরভূমঃ অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন মণ্ডল। যদিও তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাই বলে পরিচিত। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভর্তি দুপুরে তাকে বোলপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। সুমিত রঞ্জন মন্ডল বিজেপি নেতা বলে জানা গেছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। যদিও অনুব্রত মণ্ডল আগেই জানিয়েছেন যে,সুমিতের সঙ্গে তার কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।

IMG 20191011 233121
ছবিঃ গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা।

সূত্রের খবর,নানুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যু হয়েছিল দুস্কৃতিদের গুলিতে।কিন্তু এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ ছিল,তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।আর এই দিকে নিহত স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ নিয়েও টানাপোড়েন সৃস্টি হয়েছিল। তার মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছিল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু বিজেপির কর্মীরা স্বরূপ গড়াইয়ের মৃতদেহ তাদের হাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আর সেই বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা তথা বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ, বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ আজ গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন মণ্ডল।

আজ দুপুরে বোলপুরে ব্যস্ততম চৌরাস্তা মোড় থেকে সুমিত রঞ্জন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে বোলপুর থানার পুলিশ। বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের আদেশেই প্রথমে সুমিত মন্ডলের গাড়ি আটক করা হয়।তারপর তাকে গাড়ির ভিতর থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে গ্রেফতার করা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টোও করেন অনুপম হাজরা।

Screenshot 2019 10 11 22 50 02 097 com.facebook.katana
ছবিঃ অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্ট।

এই ঘটনায় অনুপম হাজরা আমাদেরকে জানান,“গোটা পশ্চিমবঙ্গেই তো গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আর বিশেষ করে বীরভূম তো আরও এক্ষেত্রে অসাধারণ।” এরপরেই তিনি নাম না করে তৃনমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন,“বীরভূমের জেলা সভাপতির ইমেজ বা রেপুটেশেন এটা আমরা আজ থেকে জানি না,অনেক আগে থেকেই জানি।”

IMG 20191011 234405
ছবিঃ গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে বিজেপি নেতা সুমিত মণ্ডলকে।

অনুপম হাজরা আরোও বলেন,“আর বীরভূমে তালেবানে রাজত্ব চলছে। তবে এটা আজ থেকে নয় গত তিন-চার বছর ধরেই চলছে। তবে একজন স্কুল শিক্ষককে বিনা কারণে যেভাবে গাড়িতে তোলা হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে কোন সন্ত্রাসবাদিকেও পুলিশ এইভাবে আটক করে বলে মনে হয় না। একটা ওয়ারেন্ট থাকে। আর সেই ওয়ারেন্ট দেখেই মানুষকে অ্যারেস্ট করা হয়। যাই হোক এককথায় বলা যায় পুলিশ যদি এইভাবে কোন দুস্কৃতিদের ধরতে পারতো তাহলে সমাজটাই সুধরে যেতো। পুলিশ যেভাবে স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ চুরি করেছিল ঠিক সেই ভাবেই আজকে সুমিতকে অ্যারেস্ট করল।তাজ্জব হয়ে গেলাম।”

সম্পর্কিত খবর