অশোকনগরের তেল ও গ্যাসের খনি বাংলায় তৈরি করবে প্রচুর কর্মসংস্থান : কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (dharmendra pradhan) রবিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের (ashok nagar) তেল ও গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্রটি দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন। অশোকনগর রাজ্যের প্রথম তেল ও গ্যাস মজুদ। প্রধান বলেন, কলকাতা থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে তেল উত্তোলন করে ভারতীয় তেল কর্পোরেশনের হালদিয়া রিফাইনারিতে (আইওসি) প্রেরণ করা হবে।

অশোকনগর,ধর্মেন্দ্র প্রধান,পশ্চিমবঙ্গ,ওএনজিসি,ashok nagar,Dharmendra Pradhan,west Bengal,ONGC,Bengali,Bengali news
প্রকল্পটির উদ্বোধনের পরে তিনি বলেন, অশোকনগর তেল ও গ্যাস রিজার্ভ থেকে উত্পাদন শুরু হওয়ার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গও সেই তালিকায় যোগ দিয়েছে যেখানে তেল উত্তোলন করা হয়। জানিয়ে রাখি, রাজ্যে তেল ও গ্যাসের প্রথম মজুদটি ২০১৮ সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল।

তিনি জানান, ওএনজিসি, পাবলিক সেক্টর সংস্থা (পিএসইউ), অশোকনগর তেল ক্ষেত্র অনুসন্ধানে ৩৩৩১১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। তিনি বলেন, সংস্থাটি ওপেন একার লাইসেন্সিং পলিসির (ওএলএপি) অধীনে আরও দুটি কূপ অন্বেষণ করবে।

অশোকনগর রিজার্ভে আবিষ্কৃত অপরিশোধিত তেল উচ্চমানের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, তেল খনি থেকে বাণিজ্যিক উত্পাদনের কারণে পশ্চিমবঙ্গের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

রবিবার পাবলিক সেক্টর অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি) ভারতের অষ্টম হাইড্রোকার্বন উত্পাদন বেসিনকে বেঙ্গল অববাহিকার একটি কূপ থেকে তেল উত্পাদন শুরু করে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর -১ কূপ থেকে তেল উত্পাদন শুরু হয়েছে। প্রধান ওএনজিসিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন যে আবিষ্কারটি ভারতের জ্বালানী সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি, অশোকনগর -২ প্রকল্পটি শীঘ্রই বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল।

ওএনজিসি হ’ল দেশের বৃহত্তম তেল ও গ্যাস উত্পাদনকারী। দেশের হাইড্রোকার্বন উত্পাদনে এর ৭২ শতাংশ অংশ রয়েছে। বাংলার অববাহিকা প্রায় ১.২২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বঙ্গোপসাগরের জলে রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওএনজিসি বেঙ্গল অববাহিকায় হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও খনন কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ৩৩৩১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। আগামী দু’ বছরে খননকার্যে ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি টাকা।

 

 

সম্পর্কিত খবর