অবশেষে নিয়ন্ত্রনে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল, পূর্বাভাস বৃষ্টির

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অবশেষে শান্তির খবর। নিয়ন্ত্রনে এসেছে অস্ত্রেলিয়ার বিদ্ধংসী দাবানল। অনুমান কয়েক মাস ধরে চলা এই দাবানলে কমপক্ষে পঞ্চাশ কোটি বন্যপ্রাণী ও অসংখ্য গাছ , কীটপতঙ্গ এর মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু মিছিলের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিশিষ্ট থেকে সাধারন মানুষ।

দমকল কর্মীদের মত, বাতাসে আদ্রতার কারনেই আগুন এখন নিয়ন্ত্রনে। যদিও তাদের লড়াইকেও কুর্নিশ করতে হয়।সিডনির উত্তর–পশ্চিম প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশাল গসপার্স পাহাড়ে প্রথম আগুন ধরে যায়, যা এতদিন পর নিয়ন্ত্রণে আসল। আট লক্ষ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে এই আগুনে।

, আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে পূর্বাভাস,  পরের সপ্তাহে ৫০ মিলিমিটার (দুই ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে যেমন নতুন করে আর আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকবে না। তেমনই নতুন ভাবে প্রকৃতি নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারবে। মনে করা হচ্ছে, জলবায়ু-পরিবর্তন এই দাবানলের জন্য মূল দায়ী। এই সপ্তাহেই সিডনিতে হবে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠান। এখান থেকে যে অর্থ উঠবে দেওয়া হবে দমকল বিভাগ, রেড ক্রস এবং প্রাণী কল্যাণ সংগঠনকে। থাকবেন অ্যালিস কুপার, অলিভিয়া নিউটন জন ও কুইনের মত তারকারা।

এই  দাবানলে পুড়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিরল প্রজাতির ফ্লোরা অ্যান্ড ফউনা জাতীয় উদ্ভিদ, এক বিলিয়নেরও বেশি প্রাণী মারা গিয়েছে এবং অগণিত গাছ ও ঝোপঝাড়ও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে কোয়েলা, প্লাটিপাসের মতো প্রাণী। প্রায় সাড়ে ছয় মিলিয়ন হেক্টর পুড়ে যাওয়া এই অঞ্চলে যদিও ছাই ভেদ মকরেও নতুন গাছের জন্ম হতে শুরু করেছে। যা ক্যামেরা বন্দী করেছে ৭১ বছর বয়সী মারি লোয়ে।

 

সম্পর্কিত খবর