‘টারজান দ্য ওয়ান্ডার কার’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় আয়েশা টাকিয়ার (Ayesha Takia)। এই ছবিতে অজয় দেবগনকেও দেখা গিয়েছিল। সালমান খানের সঙ্গে ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে কাজ করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু তারপর গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যান আয়েশা (Ayesha Takia)। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থেকেছেন তিনি। এই সময়ে আয়েশার লুকেও অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। সাধারণ মানুষ তাঁর নতুন চেহারাকে অনেক ট্রোল করেছে। তারপরে অভিনেত্রী বিরক্ত হয়ে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আয়েশা টাকিয়া তাঁর অভিনয় এবং সৌন্দর্য দিয়ে বলিউডে নিজেকে স্থায়ী করেছিলেন। সালমান খান অভিনীত ‘ওয়ান্টেড’-এর পর তিনি জাতীয় ক্রাশ হয়ে ওঠেন। কিন্তু তারপর ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরে যান তিনি। ইতিমধ্যে, তাঁর ছবি ভাইরাল হতে থাকে এবং ভক্তরাও তাঁর পরিবর্তিত চেহারা দেখে হতবাক হয়েছিলেন। আসলে, প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিজের চেহারা এতটাই বদলে ফেলেছেন অভিনেত্রী যে এখন আয়েশাকে চিনতেও কষ্ট হচ্ছে অনুরাগীদের। সম্প্রতি, অভিনেত্রী যখন তাঁর পরিবর্তিত চেহারা নিয়ে নতুন ছবি শেয়ার করেছেন, তখন তিনি ট্রোলের শিকার হয়েছেন।
‘টারজান দ্য ওয়ান্ডার কার’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় আয়েশা টাকিয়ার (Ayesha Takia)
আয়েশা তাঁর ইন্সটা অ্যাকাউন্টে গাড়িতে সেলফি তোলার সময় তার ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিতে সোনালি ও নীল রঙের শাড়ি পরা ট্র্যাডিশনাল লুকে দেখা গিয়েছে। তাঁর চুল খোলাই রেখেছিলেন লিপকালার পড়েছিলেন। অভিনেত্রী তাঁর নতুন চেহারার ছবি শেয়ার করার পর ট্রোলের শিকার হন। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে তিনি তার পুরো চেহারা নষ্ট করেছেন এবং নিজেকে কাইলি জেনার হিসাবে ভাবছেন।
আয়েশা টাকিয়া অতিরিক্ত ট্রোলিংয়ের কারণে বিরক্ত হয়েছিলেন এবং অভিনেত্রী একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি তাঁর ইন্সটা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছেন। এখন আয়েশার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আর খুলছে না। তাঁর ইনস্টা অ্যাকাউন্টটি আয়েশা টাকিয়া আজমির নামে ছিল এবং তাঁর 2 মিলিয়ন ফলোয়ারও ছিল। প্রসঙ্গত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও আয়েশাকে বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল। তাঁর পরিবর্তিত চেহারা দেখে মানুষ তাঁকে সে সময়ও অনেক ট্রোল করেছিল। এর পরে আয়েশা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ নোট শেয়ার করে ট্রোল বন্ধ করে দিয়েছিলেন।