CAA নিয়ে মুখ খুললো বাংলাদেশ, সাফ জানালো ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কোনো নাক গলবে না তারা

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা সমস্ত হিন্দুদের এদেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই মর্মে বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা আইনে পরিনত হয়েছে। কিন্তু তাতেও অশান্তি অব্যাহত। তিন দেশে যেহেতেু হিন্দুরা সংখ্যালঘু তাই ওই তিনদেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অথচ যাঁরা বছরের পর বছর ধরে ভারতের বাসিন্দা হয়ে আছে তাঁদের নিয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায়। তাই তো যত বিক্ষোভের সূত্রপাত। বাংলাদেশ থেকে এদেশে থাকা সমস্ত অবৈধ ভাবে শরনার্থীদের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল সরকারের তরফে।

mas

এমনকি তাতে দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনোরকম প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আই নিয়ে দেশজুড়ে উত্তপ্ততার মধ্যেই ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো ভাবেই নাক গলাবে না বলে জানিয়ে দিল। যখন থেকে বাংলাদেশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান পার্সী জৈনদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তখন থেকেই প্রতিবেসী দেশ বাংলাদেশের তরফে কোনো রকম মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু এবার এই আইন নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ডিজি মহঃ শফিনুল ইসলাম।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দেন “নাগরিক জাতীয় পঞ্জীকরণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশ কিছু বলবে না। অন্যান্য সীমান্ত রক্ষীদের মত বাংলাদেশও নিজেদের কাজ করবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকানো তাদের দায়িত্ব, তারা ঠিক সেই দায়িত্বই পালন করবে।” এমনিতেই এনআরসি চালু করার ব্যপারে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকে কাঁটাতারের ওপার থেকে আসা মানুষগুলো একপ্রকার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

আর এরই মধ্যে বাংলাদাশের তরফে এমন ঘোষনার জেরে কার্যত ভারত নিজের প্রিয় বন্ধুকে হারাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে কার্যত ভারত ওবাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা হলেও ভিচ নড়বড়ে হয়েছে ঠিক তার মধ্যে বাংলাদেশের এহেন মন্তব্য কার্যত চিন্তার রেশ বাড়িয়েই দিল ভারতরেষ
যদিও এখনও অবধি দেশের প্রধানের কাছ থেকে কোনো রকম মন্তব্য শোনা যায়নি।

সম্পর্কিত খবর