বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ কেন্দ্রের বিপাকে বিশ্বভারতীর বাংলােদশি ছাত্রী

বিশ্বভারতীর বাংলােদশি ছাত্রীকে ভারত ছাড়তে বলল কেন্দ্র, কারন সে সিএএর বিরোধিতা করেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে তাঁকে ভারত ছাড়ার নোটিস পাঠানো হয়।বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা  সিএএ-র প্রতিবাদে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। আর  সেই ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন বাংলাদেশি ছাত্রী অফসরা অনিকা মিম(২০)।

আর সেই নিয়েই বিপাকে পতে হয় তাকে। বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়ার বাসিন্দা আফসারা  অনিকা মিম ২০১৮ সালে ভারতে এসেছিলেন পড়াশোনার জন্য।এদিকে কিছুদিন আগে এই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন জয় রাম ঠাকুর। হিমাচলে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জয় রাম ঠাকুর।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ভারত মাতা কি জয় বলবেন, তাঁরাই ভারতে থাকবেন।  আর যারা নাকি (ভারত মাতা কি জয়) বলবেন না, সংবিধানের সম্মান করবেন না, ভারতের বিরোধিতা করবেন,ACB1তাঁদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে।গত কাল আবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলে  “যারা পুলিশকে পাথর মারছে, তাঁদের সঙ্গে আরও কড়া আচরণ করা উচিত।” আর এতেই বাধে বিতর্ক। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি জামিয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জামিয়ায় পুলিশ ঢুকে দশজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা কেউ ছাত্র ছিল না। অথচ গোটা দেশে তুলকালাম হয়ে গেল। আর আজকে যখন তারাই আগুন জ্বালাচ্ছেন, তখন বিরোধী নেতারা দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন!বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করা এই ছাত্রীকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তাঁকে ভারত ছাড়ার নোটিস পাঠানো হয়।

আর ভারত সরকার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্যই তাঁকে ভারত ছাড়তে বলা হচ্ছে। ভয়ে ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ করে দেন অনিকা। বিদেশ মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় এখনও আতঙ্কিত অনিকা। এখন তার কেরিয়ার নিয়েও সমস্যা হতে পারে বলে চিন্তায় পড়েছে অনিকা।কারন শিল্পী হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেটা ভেস্তে যেতে বসেছে।

সম্পর্কিত খবর