শালপাতা কেটে সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রতিকৃতি গড়লেন বাঁকুড়ার যুবক, অদ্ভুত প্রতিভায় মুগ্ধ ক্রিকেটের মহারাজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ব্যাট বল থেকে দূরে সরে গেলেও বাইশ গজকে পুরোপুরি বিদায় জানাননি। এখনও তিনি ক্রিকেট দুনিয়ারই লোক। যদিও সদ্যই ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু তার খেলা ছেড়েও বহুদিন ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন।22 থেকে 25 তারিখ অবধি চলা ইডেনের মাঠে আন্তর্জাতিক পিঙ্ক বল টেস্টের আয়োজক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তাঁর দক্ষতা কিংবা যোগ্যতা নিয়ে যাই বলা হোক না কেন খুবই কম। নিজের দেশের মাটির গন্ধ ও জায়গা কখনই ভোলেননি তিনি। তাই তো ইডেনে টেস্ট ক্রিকেট শুরুর দিন ভক্তদের একেবারে কাছাকাছি এসেছিলেন দাদা। বঙ্গ সন্তান সৌরভের প্রতি টান সকলেরই একটু হলেও বেশি। আর সেই বঙ্গসন্তান কিন্তু সর্বদাই নিজের জায়গা ধরে রেখেও সকলের সঙ্গে মিশে যান।

বর্তমানে জি বাংলা রিয়েলিটি শো দাদাগিরিতে সঞ্চালকে ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। যদিও প্রথম সিজন থেকেই তাঁকে দেখা গেছে। মাঝে একটি সিজনে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এককথায় দাদা ছাড়া যেন দাদাগিরি জমে না।নিজের আভিজাত্য এসবের মাঝে কিন্তু সকলের প্রতিভাকে যছেষ্ট সম্মান দেন তিনি। তা যদিও আবার কেউ দাদার জন্য কিছু করেন তাহলে একেবারে খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন দাদা।

এবার তেমনই এক কাণ্ড ঘটল। বাঁকুড়ার এক যুবকের শালপাতায় তৈরি দাদার প্রতিকৃতি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলেন তিনি। তাই সেই প্রতিকৃতিটি কলকাতায় নিয়ে আসতে বলে বাঁকুড়ার যুবককে মেসেজ পাঠালেন তিনি। জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার ওই যুবক সমস্ত বিশেষ ব্যক্তিদের , তারকাদের নিজের শিল্পকর্মে স্থান দেন। পাতায় প্রতিকৃতি তৈরি করেন। তাঁর বহুদিনের শখ ছিল সৌরভের প্রতিকৃতি তৈরি করে দাদার হাতে সেই শিল্পকর্মটি তুলে দেবেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন সফল হল তাঁর।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে তিনি শালপাতা কুড়িয়ে এনে ব্লেড দিয়ে সূক্ষ করে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি সেই পাতায় স্থান দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সেই যুবকের নাম রূপম। রূপমের কাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেই তাঁকে এসএমএস করেছেন।

সম্পর্কিত খবর