জুনিয়র ডাক্তারদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্র বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,জখম ২সাংবাদিক

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমানঃ হাসপাতাল না রণক্ষেত্র বোঝা দায়। জুনিয়র ডাক্তাররা মারছে রোগীর পরিজনদের। ইন্টার্নরা কর্তব্যরত পুলিশকে ঘিরে কলার ধরে মারছে। রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। তাদের মেরে ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

   

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকেই বন্ধ জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা। সব মিলিয়ে শিকেয় বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা।

এন আর এস কাণ্ডের জেরে গতকাল দফায় দফায় কর্মবিরতি ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ ও ইন্টার্নরা। আজ সকালেও তারা কর্মবিরতি জারি রাখলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ সমস্ত গেট বন্ধ করে দেন। হাসপাতালে মরণাপন্ন ও মুমূর্ষু রোগীদের কাছে যাওয়ার অনুরোধ করলে জুনিয়র ডাক্তাররা মারমূখী হয়ে ওঠে। লাগোয়া মেডিকেল হোস্টেল থেকে বাঁশ হকিস্টিক নিয়ে এসে রোগীর পরিজনদের বেধড়ক মারধর করেন তারা।

পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারা হয়। বাদ যাননি সাংবাদিকরাও। ছবি তুলতে গেলে তাঁদের অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়। দুজন সাংবাদিক গুরুতর জখম। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও raf এলেও তাঁরাও ডাক্তারদের তান্ডবের সামনে কার্যত অসহায় ছিলেন। পুলিশের সামনেই রোগীর পরিজন , সাংবাদিকদের ও সাধারণ পথচারীকে তাড়া করে মারতে দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের। জরুরি বিভাগ সহ সব বিভাগেই চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধ। হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আতঙ্কে পাঁচিল টপকে পালাচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের তান্ডব নতুন ঘটনা নয়। কথায় কথায় কর্মবিরতি, রোগীর আত্মীয়দের মারধর , সাংবাদিকদের মারধর বারবার ঘটেছে এই হাসপাতালে।
আজকের ঘটনা যেন তারই পুনরাবৃত্তি।

সম্পর্কিত খবর