বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী তে এবার মা আসবেন সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব ঘোচাতে।

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যতই মেঘ রোদ্দুর উকি ঝুঁকি খেলুক, যতই মেঘলা আকাশ ঝরাক বরিষ ধারা। কিন্তু তাও, বাঙালির কাছে একটাই সত্যি এখন, পুজো আসছে। আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরই বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্যি। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ, শহর কলকাতা মুড়ে যাচ্ছে আলোর রোশনাই তে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কোথাও থিম, কোথাও বারোয়ারি। থিম পুজোর উদ্যোক্তা থেকে শিল্পীরা শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় মণ্ডপের মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে তাদের অভাবনীয় সব ভাবনা।

এমনই এক অসাধারন ভাবনা দিয়ে গড়ে ওঠা মণ্ডপ মানুষকে উপহার দিতে চলেছে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এবারে তাদের থিম ‘ এক, কিন্তু একা নয়’। ভারতের মূল বৈশিষ্ট, তার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। এখানে যেমন আছে সমুদ্র, তেমন আছে পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি, মরুভূমি। আছে নানান ভাষা, আছে নানান মত, নানান ধর্ম, নানান রীতিনীতি, নানান সম্প্রদায়। কিন্তু এই সব মিলিয়েই দেশ সে ভারত। ধর্মে ধর্মে বিদ্বেষ বা সাম্প্রদায়িক হানাহানি না, বরং ধর্মে ধর্মে একসাথে মিলে মিশে সহাবস্থানে ই ভারত হয়ে ওঠে সুন্দর।কিন্তু যারা নিজেদের স্বার্থ চরতার্থ করার জন্য ধর্মে ধর্মে বিভেদ ঘটায়, ছড়িয়ে দেয় অশান্তির আগুন, তাদের বিনাশেই আবির্ভাব হোক মায়ের। দেবী দুর্গার আগমনে আসুক শান্তি, ঘুচে যাক সব বিভেদ,এই ভাবনা কে ফুটিয়ে তুলতে মণ্ডপ গড়ে তুলছেন শিল্পী। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মণ্ডপের শুরুতেই বিশাল ছাতার নীচে মন্দির, মসজিদ, গির্জা। নজর কাড়বে একশো কেজি ওজনের দশ ফুটের ডোকরার দুর্গা। বর্ধমানের গুসকরায় তৈরি হচ্ছে দুর্গা।পুজো উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর পর ক্লাবেই সংরক্ষণ করে রাখা থাকবে পিতলের মূর্তি। এবার উনিশ বছরে পদর্পণ করতে চলেছে তাদের এই পুজো। তাদের এই অভাবনীয় মণ্ডপ সজ্জা কতটা সাধারন মানুষের নজর কাড়ে তা দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা।

সম্পর্কিত খবর