রাজ্যের পেঁয়াজ গেছে বাংলাদেশে, নাসিকের পেঁয়াজ চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথাতেই আছে ঘরামির ঘর নেই ঠিক তেমন কাণ্ডই ঘটল এ বার পশ্চিমবঙ্গে। যেখানে রাজ্যে 65 শতাংশ পেঁয়াজ উত্পন্ন হয়। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকেও আমদানি হয় 70 শতাংশ পেঁয়াজ অথচ ঘরের উত্পন্ন হওয়া পেঁয়াজ কিন্তু নিজেদের রাজ্যে ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারে না বরং পেঁয়াজ সংকটের সময় তা চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে আর তাই তো মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ আর এ নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীদের একাংশ।

জেলার যে পেঁয়াজ হয় সেই রাজ্যের মানুষদের পেঁয়াজের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয় অন্য রাজ্যের দিকে। আসলে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উ পন্ন হয় তার থেকে অনেকটাই পেঁয়াজ বেশি লাগে রাজ্যবাসীর জন্য আর তাই সেই পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করলেই ঘাটতি মেটার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও যেহেতু পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি হয়ে যাচ্ছে তাই সারা বছর পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে রাজ্য।

   

আর এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পেঁয়াজ চাষিরা বলছেন রাজ্যের অধিকাংশ চাহিদার পেঁয়াজ আসে অন্যান্য রাজ্য থেকে। যেহেতু বর্তমানে হুগলি নদিয়া বাঁকুড়া মুর্শিদাবাদ জেলার বৃহ দান সেই পেঁয়াজ চাষ ভাল হয় তাই নেওয়াজ সংরক্ষণ করলেই চাহিদা মিটে যায় কিন্তু সেই সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অন্যদিকে আরও এক কৃষক জানিয়েছেন যখন পেঁয়াজ ওঠে অর্থাত্ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চাষিদের কাছ থেকে

মাত্র চার থেকে পাঁচ টাকা মূল্য ধরে পেঁয়াজ কিনে নেয় আরও তো দাঁড়া তবে সব বছর ফলন ভালো হয় না আর তার পরেই সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। অর্থা বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যের উত্পন্ন সমস্ত পেঁয়াজের অধিকাংশটাই বাংলাদেশের রফতানি হয়েছে, কিন্তু এ রাজ্যে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়েছে এবং মহারাষ্ট্র দক্ষিণ ভারত থেকে পেঁয়াজ এনে এক প্রকার চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।

সম্পর্কিত খবর