বীরেন্দ্রকৃষ্ণের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী, ঘাটে-ঘাটে তর্পণ, বাজলো দেবীপক্ষের সূচনার ধ্বনি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মায়ের আগমনী দিন প্রতি বছরের মতো বাঙালির অভ্যেসে বদল ঘটলো না। দেবী বন্দনার শুরুতেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের অমোঘ কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনেই ঘুম ভাঙল বাঙালির। শরতের ভোর, শিউলি ফুল, ঘাসের আগায় শিশির বিন্দু আর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ানো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রপাঠ- বাঙালির জীবনে এ এক অত্যাশ্চর্য সকাল, মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হলো আর সূচনা দেবীপক্ষের।

   

আজ ভোর থেকেই গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সমাগম হয়েছেন বহু মানুষ। পূর্বপুরুষকে আহ্বান জানিয়ে তর্পণ করছেন তাঁরা। রাত থেকেই ওই সব ঘাটে ভিড় জমিয়েছেন। ভোর থেকে পা ফেলার জায়গা নেই বাগবাজার, শোভাবাজার, আহারিটোলার ঘাটে। বিভিন্ন জেলাতেও একই ছবি ফুটে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। মায়ের আগমনীতে মেতে উঠেছে বাঙালি।

এ বার মহালয়ার দিনেও রাজনৈতিক চাপান-উতর লক্ষ্য করা গেছে। আজ বাগবাজারে গঙ্গা ঘাটে তর্পণ করবেন বিজেপি সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নড্ডা। যে সব বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে বাগবাজার ঘাটে তর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃতের পরিবারের সদস্যরা গঙ্গায় তর্পণের উদ্দেশে রাতের মধ্যেই চলে এসেছেন কলকাতা।

রাজনৈতিক চেতনার মধ্যদিয়ে সমাজ বদলানোর চিন্তাভাবনা নয়। বরং উল্টোটা। সমাজের বিভিন্ন আচার, সংস্কার, বিশ্বাস, মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িয়ে রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন জে পি নাড্ডা। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। উল্লেখ্য, মহালয়ার আগের থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের প্রতিমা উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত খবর